৫২ মফস্বল ডেস্ক।।
দিনাজপুরের ফুলবাড়ির পার্শ্ববর্তী বড়পুকুরিয়া কয়লা-ভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণাধীন তৃতীয় ইউনিটের শ্রমিকরা গত শুক্রবার থেকে বেতন-ভাতা বৃদ্ধি, শ্রমিক নির্যাতন ও ছাঁটাই বন্ধসহ ১০ দফা দাবিতে শুরু হওয়া অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট অব্যাহত আছে। শ্রমিকরা বিদ্যুৎ কেন্দ্র এলাকায় বিক্ষোভ মিছিলসহ সমাবেশ করে।
এ সময় বক্তব্য দেন শ্রমিক অধিকার আন্দোলনের আহ্বায়ক রমজান আলী, রবিউল ইসলাম, মহসিন আলী, হাইকুল ইসলাম, বেলাল হোসেন, বুলবুল হোসেন, মাহাবুব আলশ প্রমুখ।শ্রমিকদের অভিযোগ, বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তৃতীয় ইউনিট নির্মাণকাজের চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ইঞ্জিনিয়ারিং মেশিনারি কোম্পানির (এনইপিসি) অধীন দেশি শ্রমিকরা দিনে ৯ থেকে ১০ ঘণ্টা শ্রম দিলেও এর জন্য তাদের বাড়তি পারিশ্রমিক দেয়া হয় না। উপরন্তু প্রতিবাদ করলে কিংবা কাজে সামান্য ত্রুটি হলেই চীনা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা দেশি শ্রমিকদেরকে মারধরসহ চাকরিচ্যুত করছেন। এখানে কাজ করার জন্য স্থানীয় কয়েকজন ঠিকাদারকে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা গুষ দিতে হয়েছে। তখন শ্রমিকদের বলা হয়েছিল-তাদের প্রত্যেকের বেতন হবে ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকা। কিন্তু এখন অতিরিক্ত শ্রম দিয়েও বেতন পাচ্ছেন ৫ হাজার থেকে ৭ হাজার টাকা।
শ্রমিক অধিকার আন্দোলনের আহব্বায়ক রমজান আলী বলেন, ‘চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গত কয়েক দিন আগে পার্শ্ববর্তী শেরপুর গ্রামের বিশ্বজিৎ, পাতিগ্রামের বকুল মিয়া, গাড়িচালক কোরবান আলী, শ্রমিক জাহাঙ্গীর আলম, আরিফুল ইসলাম, জাকির হোসেন, লিমন মিয়া, সেকেন্দার আলী, আনোয়ারুল ইসলাম, জিয়ারুল ইসলাম ও রশিদুল ইসলামকে কারণ ছাড়াই চাকরি থেকে ছাঁটাই করেছে। একই ভাবে গত বৃহস্পতিবার মকবুল হোসেন নামের এক শ্রমিককে সামান্য কারণে মারপিট করা হয়। তাই দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।’ বড়পুকুরিয়ায় নির্মাণাধীন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তৃতীয় ইউনিটের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ইঞ্জিনিয়ারিং মেশিনারি কোম্পানির (এনইপিসি) কর্মকর্তাদের সঙ্গে চেষ্টা করেও কথা বলা যায়নি।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.