৫২ রাজনীতি ডেস্ক।।
রাজধানীর মিরপুরে রোববার গভীর রাতে পৃথক ঘটনায় কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধ’ ও ‘গণপিটুনিতে’ চারজন নিহত হয়েছেন। রাত দেড়টার দিকে মিরপুরের কল্যাণপুর হাউজিং এলাকায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন মিরপুর ১০ নম্বর ওয়ার্ড শ্রমিক দলের আহ্বায়ক আবদুল ওয়াদুদ। এ ঘটনার মাত্র ১৫ মিনিট আগে কাজীপাড়া বাইশবাড়ি এলাকায় ‘গণপিটুনিতে’ নিহত হন অজ্ঞাত পরিচয়ের তিন যুবক। তাদের বয়স ২০ থেকে ২৫ এর মধ্যে।
বাসে পেট্রলবোমা নিক্ষেপকালে ওই তিন যুবক গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে মিরপুর থানা পুলিশ। তবে নিহতদের প্রত্যেকের শরীরে গুলির চিহ্ন রয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্র নিশ্চিত করেছে।
এখন পর্যন্ত পুলিশ নিহত এ তিন জনের কারও পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, রাত সোয়া ১টার দিকে মিরপুরের কাজীপাড়া বাইশবাড়ি এলাকায় আহত হন ওই তিন যুবক। মিরপুর থানার এসআই মাসুদ পারভেজ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
এসআই মাসুদ পারভেজের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে প্রথমে তিনি কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান। পরে বলেন, বাইশবাড়ি এলাকায় একটি গাড়িতে পেট্রলবোমা নিক্ষেপকালে স্থানীয় লোকজন তাদের গণপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে। নিহতদের শরীরে গুলির চিহ্ন থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো জবাব দেননি।
রাত পৌনে ২টার দিকে একই থানার এসআই জহিরুল ইসলাম অপর এক যুবককে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক তাকেও মৃত ঘোষণা করেন। ওই যুবক মিরপুর ১০ নম্বর ওয়ার্ড শ্রমিক দলের আহ্বায়ক আবদুল ওয়াদুদ বলে তিনি জানান।
জহিরুল আরও জানান, সকালে ওয়াদুদকে গ্রেফতার করা হয়। রাতে তাকে নিয়ে সহযোগীদের গ্রেফতারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হচ্ছিলো। রাত দেড়টার দিকে কল্যাণপুর হাউজিং এলাকায় গেলে তার সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এ সময় পুলিশ পাল্টা গুলি ছুড়লে ওয়াদুদ আহত হন। তার বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সম্প্রতি বাসে বোমা হামলাসহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে বলে জহিরুল জানান।