৫২ লাইফ স্টাইল ।।
দিনে ১২ ঘণ্টার মাঝে ৮ থেকে ৯ ঘণ্টা ব্যয় হয় অফিসের কাজেই। কাজের ফাঁকেই তাই সেরে নিতে হয় খাবার, অনেক সময় হয়তো সময় মত খাওয়াটাও মিস হয়ে যাচ্ছে নিজের অজান্তেই।
আপনি সারাদিন অফিসে কী কী খান একটু ভেবে বলুন তো? যখন আপনি ভাবতে শুরু করবেন তখনই আপনার মনে আসবে চা, কফি, কোমলপানীয় আবার কখনো সিঙ্গারা, সমুচা, পরোটা ইত্যাদি দোকানের খাবার। অথচ এসব খাবার আপনাকে ঝরঝরে ও ফ্রেশ তো করবেই না, বরং আপনাকে দেখাবে অনেক ক্লান্ত ও মাথাও ধরতে পারে নানা সময়ে। মাঝে মাঝে এই ধরনের খাবার খেলে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু সমস্যা তখনই হবে যখন আপনি এই খাবারগুলো সব সময় খাওয়ায় অভ্যাস গড়ে তুলবেন।
জেনে রাখুন:
* নির্দিষ্ট সময়ে খাদ্য গ্রহণ না করলে পাকস্থলী নির্ধারিত সময়ে অ্যাসিড তৈরি হয়। এ সময় পেটে খাবার না পেলে সে নিজের দেয়ালেরই ক্ষতি করতে শুরু করে।
* অতিরিক্ত তৈলাক্ত ও মসলা যুক্ত খাবারের কারণে গ্যাসটিকে আক্রান্ত হতে পারেন।
* পানি কম খাওয়ার কারণে ইউরিনে ইনফেকশন হতে পারে।
* শরীরে অতিরিক্ত ফ্যাট জমতে পারে যা আপনার হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াবে।
মেনে চলুন:
* অতিরিক্ত চা-কফি, চকলেট, তৈলাক্ত ও ভাজা পোড়া খাবার, বেশি মসলা ও তেল দিয়ে প্রস্তুত খাদ্য যথাসম্ভব এড়িয়ে চলাই ভালো।
* তৈলাক্ত খাবার খাওয়ার আগে বা পরে পানি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। তৈলাক্ত খাবার খাওয়ার অন্তত ৩০ মিনিট পরে এক গ্লাস পানি খান।
* চা কফির বদলে ফল খান। যা আপনার শরীরকে এনার্জি দিবে।
* সবসময় চেষ্টা করুন বাসা থেকেই খাবার তৈরি করে নিতে। সালাদ, খুব অল্প তেলে ভাজা মিক্সড সবজি, ফ্রুট সালাদ, সবজি দিয়ে নুডলস নিতে পারেন। পেটও ভরবে, স্বাস্থ্যও ভালো থাকবে।
* অফিসে থাকাকালীন সময়ে প্রচুর পানি খেতে ভুলবেন না। পানি খাওয়ার ফলে আপনার ক্লান্ততা দূর হবে এবং আপনি ফ্রেশ থাকবেন।
* ধূমপান ত্যাগ করতে হবে।
* জাঙ্ক ফুড জাতীয় খাবার যেমন চিপস, ফ্রাইড ফাস্ট ফুড এবং কোমল পানীয় থেকে দূরে থাকুন। মিষ্টি জাতীয় খাবার যেমন- ক্যান্ডিও অফিসের খাবারের তালিকা থেকে বাদ দিন।
যথার্থ ও পরিপূর্ণ খাদ্যাভাস আপনাকে সুস্থ কর্মক্ষম রাখতে পারে দীর্ঘ দিন। তাই অফিসেও স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।