৫২ রাজনীতি ডেস্ক ।।
দীর্ঘদিন ধরে বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার গুলশানস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে বাহির থেকে খাবার নিয়ে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না পুলিশ। জানা যায় কার্যালয়ে খাবার প্রবেশ করতে না দেওয়ায় শুকনো খাবার খেয়েই দিনযাপন করছেন খালেদাসহ কার্যালয়ে অবস্থানরতরা। এতে মাঝে মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন কার্যালয়ে অবস্থানকারীরা।
কার্যালয়ের ভেতর খালেদারসহ অবস্থান করছেন, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল কাইয়ুম, প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান, বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, মাহবুব আলম ডিউ, নিরাপত্তা সমন্বয়ক অবসরপ্রাপ্ত কর্ণেল আবদুল মজিদ, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, কিছুসংখ্যক অফিস স্টাফ ও কর্মকর্তা-কর্মচারী।
গত ১১ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টার দিকে প্রথম দফায় খাবার সরবরাহকারী একটি পিকআপ ভ্যান কার্যালয়ের ঢোকার চেষ্টা করলে বাধা দেয় পুলিশ। চালকসহ ভ্যানটিকে আটক করে নিয়ে যায় সাদা পোশাকধারী পুলিশ। ভ্যানে ১২০ প্যাকেট খাবার ও প্রয়োজনীয় পানির বোতল ছিল। দ্বিতীয় দফায় রাত সাড়ে দশটার দিকে পুনরায় কিছু শুকনা খাবার কার্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করানোর চেষ্টা করা হলে তাতেও পুলিশ বাধা দেয়। ১১ তারিখ থেকে পুলিশ এভাবে কাউকে কার্যালয়ে খাবার নিয়ে প্রবেশ করতে দিচ্ছেনা।
এরপর গত ১৫ ফেব্রুয়ারি কার্যালয়ে আবার খাবার প্রবেশে বাধার কারনে কার্যালয়ের পশ্চিম পাশের পকেট গেটের সামনে দাঁড়িয়ে দলের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের খাবার সরবরাহ বন্ধ করা হয়নি। কার নির্দেশে খাবার বন্ধ করা হয়েছে, আমরা জানতে চাই। খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে খাবার প্রবেশ নিয়ে মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে সরকার। তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া অভুক্ত রয়েছেন। তার কার্যালয়ে অবস্থানকারীদের রেখে তিনি খেতে পারছেন না।
খালেদা জিয়ার প্রেস উইংয়ের সদস্য শাইরুল কবির খান বিডি টুয়েন্টিফোর লাইভকে জানান, কার্যালয়ে থাকা শুকনো খাবার খেয়েই খালেদাসহ তারা দিনযাপন করে যাচ্ছেন। কোনদিন চিড়া, কোনদিন মুড়ি, কোনদিন মোয়া, কোনদিন বিস্কুট খেয়েই চলছে খালেদাসহ তাদের দিনযাপন।
উল্লেখ্য, গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের বর্ষপূর্তির সমাবেশ ঘিরে ৩ জানুয়ারি রাত থেকে গুলশান কার্যালয়ে খালেদা জিয়া অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছেন। এরপর তিনি এখান থেকেই ৫ জানুয়ারি সারাদেশে লাগাতার অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেন, যেটি এখনো অব্যাহত রয়েছে। এর সঙ্গে ফাঁকে ফাঁকে হরতালও চলছে।