৫২ ধর্ম ও জিবন।।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা হযরত আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী সম্প্রতি পাশ্চাত্যের যুব সমাজের উদ্দেশে যে ঐতিহাসিক বাণী দিয়েছেন সে সম্পর্কে অনেকেই বিচিত্র ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন এবং এ ধরনের প্রতিক্রিয়া এখনও অব্যাহত রয়েছে।
‘বিশ্বের বঞ্চিতদের ফ্রন্ট’ নামের একটি সংস্থার ওয়েব সাইট এ সম্পর্কে লিখেছে:
পাশ্চাত্যের যুব সমাজের অনেকেই ইরানের সর্বোচ্চ নেতা হযরত আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ীর উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে ধারণা রাখেন না এবং তার সাম্প্রতিক চিঠি সম্পর্কেও খবর রাখতেন না, কিন্তু তারপরও যারা কোনো না কোনোভাবে ওই চিঠির বক্তব্য পড়তে পেরেছেন তারা নানা ধরণের প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। তাদের কেউ কেউ ওই বাণী পড়ে মুগ্ধ ও অভিভূত হয়েছেন এবং প্রকৃত ইসলামকে জানার জন্য গবেষণা শুরু করেছেন। সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কেউ কেউ ইরান ও ইসলাম সম্পর্কে বিদ্বেষী ধারণার আলোকে এখনও নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখছেন। যারা নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এই চিঠি পড়েছেন তাদের সবাই এই বাণীকে সমর্থন যুগিয়েছেন ও স্বাগত জানিয়েছেন এবং ইরানের সর্বোচ্চ নেতার বাণীর ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।
‘বিশ্বের বঞ্চিতদের ফ্রন্ট’ দুই বছর ধরে সক্রিয় একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা। সংগঠনটি ইরানের সর্বোচ্চ নেতার সাম্প্রতিক এই বাণী পশ্চিমা যুব সমাজের কাছে পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করছে। আর এই কাজ করতে গিয়ে তারা যুব সমাজের প্রতিক্রিয়াও মনিটর করেছে। এখানে ওইসব প্রতিক্রিয়ার কিছু অংশ তুলে ধরা হল:
ইহুদিবাদী ইসরাইলের রাজধানী তেলআবিবের অধিবাসী জোসেফ স্নিডম্যানকে সংলাপের আমন্ত্রণ জানানোর পর প্রথমে তিনি কঠোর প্রতিক্রিয়া দেখান এবং এ ধরনের সংলাপে অংশ নিলে তার জীবনের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন। অবশ্য কয়েক মিনিট ধরে কথা বলার পর তিনি ইরানের সর্বোচ্চ নেতার ওই বাণী সম্পর্কিত প্রশ্নের জবাব দেন। জোসেফ স্নিডম্যান বলেছেন, আমি একজন ধর্মপ্রাণ ইহুদি। আমি বিশ্বাস করি প্রভু ছাড়া অন্য কেউই আমার মন ও চিন্তাধারাকে নিয়ন্ত্রণ করছে না। ইসলামকে ও মুসলমানদেরকে কালিমালিপ্ত করার এবং অশুভ বা হিংস্র শক্তি হিসেবে তুলে ধরার যে চেষ্টা করছে পাশ্চাত্যের আধিপত্যকামী গণমাধ্যম, আমি পুরোপুরি তার বিরোধিতা করছি।
গত ২১ জানুয়ারি (২০১৫) বিশ্বের সংবাদ ও গণমাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত হয় পশ্চিমা যুব সমাজের কাছে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার ঐতিহাসিক বাণী। অনন্য এই বাণী বিশ্বব্যাপী যুক্তিবাদী ও চিন্তাশীল মহলে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। প্যারিসে শার্লি এবদো নামের একটি রম্য-পত্রিকার অফিসে রহস্যজনক হামলার অজুহাতে ওই পত্রিকায় মহানবী (সা.)’র প্রতি একটি অবমাননাকর কার্টুন প্রকাশের পটভূমিতে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা এই বাণী পাঠান।
তিনি বলেছেন, ‘ইসলাম আতঙ্ক’ থেকে পালিয়ে না গিয়ে এ ধর্ম সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা উচিত। তিনি আরো বলেছেন, মুসলমানদের ব্যাপারে আতঙ্ক তৈরি করে তা থেকে রাজনৈতিক সুবিধা আদায় পাশ্চাত্যের দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য।