৫২ রাজনীতি ডেস্ক।।
বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে দেশের সকল পাড়া-মহল্লায় জনগণের নেতৃত্বে স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রতিরোধ-সংগ্রাম কমিটি গড়ে উঠেছে। জনতার স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিরোধের মুখে অতি তাড়াতাড়ি অবৈধ সরকার পলায়নে বাধ্য হবে।
আজ (শনিবার) বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, “আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার দোহাই দিয়ে প্রতিমুহূর্তে মুক্তিযুদ্ধের সকল অর্জনকে পদদলিত করে গণতন্ত্রকেই বিলুপ্ত করছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর স্মরণ রাখা উচিৎ তার পিতা বাকশাল গঠনের মাধ্যমে গণতন্ত্র হত্যা করে যেমন আওয়ামী লীগকে অস্তিত্বহীন করে দিয়েছিল, তেমনি তিনিও পিতার পথ অনুসরণ করে পুণর্বার আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিকভাবে দাফন করার আয়োজন করে চলেছেন।”
তিনি বলেন, রাষ্ট্রের মালিকানা জনগণের কাছে ফেরত দেওয়ার ২০ দলীয় জোটের চলমান আন্দোলনকে সরকার জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে সন্ত্রাসী ও জঙ্গি কর্মকাণ্ড হিসেবে উপস্থাপনের সীমাহীন অপচেষ্টা চালিয়েও ব্যর্থ হয়েছে। ২০ দলীয় জোটের এই আন্দোলন শুধু ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নয়, এই আন্দোলন নিপীড়ক শাসকচক্রের বিরুদ্ধে বলেও জানানো হয় বিবৃতিতে।
সালাহউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, “বর্তমান অবৈধ সরকার অস্ত্রের জোরে জনগণের সকল গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে। আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার দোহাই দিয়ে প্রতিমুহূর্তে মুক্তিযুদ্ধের সব অর্জনকে পদদলিত করে গণতন্ত্রকেই বিলুপ্ত করে দিতে চায়।”
সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, “দিনাজপুরের চিরিরবন্দরের নিভৃত পল্লীতে গতকাল মিথ্যা মামলায় বিএনপি নেতাকে ধরতে গিয়ে পুত্র রেজওয়ানুলকে হত্যা করে স্ত্রী-কন্যাকে গুলিবিদ্ধ করে পুলিশ গ্রামবাসীর প্রতিরোধে পলায়ন করতে বাধ্য হয়। রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আজ দেশের সকল পাড়ায়-মহল্লায় জনগণের নেতৃত্বে স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রতিরোধ-সংগ্রাম কমিটি গড়ে উঠেছে। জনতার স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিরোধের মুখেই অবৈধ সরকারও অতি শিগগিরই পলায়নে বাধ্য হবে।”
সালাহ উদ্দিন বলেন, “বিনা ভোটের অবৈধ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি হুকুমে র্যাব, পুলিশ, বিজিবির কতিপয় দলবাজ সেবাদাস কর্তাব্যক্তিরা আন্দোলনরত বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের বিভিন্ন নৃশংস কায়দায় ক্রসফায়ারের মাধ্যমে বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা করে সমগ্র দেশকে বধ্যভুমিতে পরিণত করলেও তারা অবৈধ সরকারকে রক্ষা করতে পারবে না। ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে রাজধানী ঢাকা পর্যন্ত সর্বত্র ওই সব দলবাজ পিশাচ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তালিকা প্রণয়ন অব্যাহত রেখেছে।”
তিনি আরও বলেন, “বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীকে পুনরায় পুলিশ রিমান্ডে নেওয়ায় আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। গুরুতর অসুস্থ রিজভীকে হত্যার উদ্দেশ্যেই সরকার গ্রেফতারের পর থেকে আজ পর্যন্ত কারাগারে না নিয়ে ২৯ দিন লাগাতার পুলিশি রিমান্ডে নেওয়ার নজিরবিহীন ঘৃণ্য কর্মকাণ্ড অব্যাহত রেখেছে। রিজভী আহমেদের যদি কোনো দুর্ঘটনা ঘটে তাহলে এর দায়দায়িত্ব সরকারকেই বহন করতে হবে।”
বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব বলেন, “পুলিশ বেষ্টনীর মধ্যেও ব্লগার অভিজিৎ রায়ের হত্যাকাণ্ড প্রমাণ করে নাগরিকদের জানমালের নিরাপত্তা দিতে সরকার ব্যর্থ। আমরা অভিজিৎ হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং এর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করছি।”
বিবৃতিতে দলীয় নেতাকর্মীকে আটক, হামলা, মামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে, যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে সপ্তম দফায় রিমান্ডে নেয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। সেইসঙ্গে আটক বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি করেন বিএনপির এই মুখপাত্র