৫২ মফস্বল ডেস্ক ।।
মেঘনার অভয়াশ্রম এলাকায় ১ মার্চ রোববার আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুই মাস লক্ষ্মীপুরে মেঘনায় সব ধরনের মাছধরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একই সময় মাছ ক্রয়-বিক্রয়, মজুদ ও পরিবহনের ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। মৎস্য সংরক্ষণ আইন ১৯৫০-এর ১৩ ধারা অনুযায়ী মৎস্য অধিদপ্তর এ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
জাটকা রক্ষা ও ইলিশ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০০৬ সাল থেকে চাঁদপুরের ষাটনল হতে লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চর আলেকজাণ্ডার পর্যন্ত মেঘনা নদীর নিম্ন অববাহিকার ১শ কিলোমিটার নৌ-সীমাকে ইলিশের অভয়াশ্রম হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
এ উপলক্ষে শনিবার বিকেলে সদর উপজেলা মজু চৌধুরী মাছঘাট এলাকায় জেলেদের নিয়ে সচেতনতা সভা উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়। এসময় অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আজিজুর রহমান।
চর রমণীমোহন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু ইউসুফ ছৈয়ালের সভাপতিত্বে সেখানে বক্তব্য রাখেন- সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার সুনিল চন্দ্র ঘোষ, আবু কাসেম, জাহিদুল ইসলাম, ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী প্রতিনিধি আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
সদর উপজেলা মৎস্য দপ্তর সূত্রে জানা যায়, মেঘনার অভয়াশ্রমে মাছ ধরা বন্ধ রাখার জন্য জেলে পল্লীসহ মাছঘাট এলাকা এবং উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে নানা ধরনের সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। লিফলেট, পোস্টার ও মাইকিং করার মাধ্যমে এলাকায় প্রচার-প্রচারণাও চালানো হচ্ছে। এ ছাড়া মাছ ধরা প্রতিরোধের জন্য মোবাইল কোর্টও পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মৎস্য সংরক্ষণ বিষয়ক উপজেলা ট্রাস্কফোর্স কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আজিজুর রহমান জানান, মাছধরা বন্ধ থাকার কারণে অভয়াশ্রম সংশ্লিষ্ট এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত জেলে পরিবারকে ‘জাটকা সংরক্ষণ, জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থান এবং গবেষণা প্রকল্প’ এর আওতায় মৎস্য অধিদপ্তর পুনর্বাসন কার্যক্রম চালাচ্ছে।
ওই প্রকল্পের আওতায় ক্ষতিগ্রস্ত জেলে পরিবারের মধ্যে চার মাসের জন্য ৪০ কেজি করে চাল ভিজিএফ সহায়তা, জাল তৈরির জন্য সুতা, বিকল্প কর্মসংস্থানে ক্ষুদ্র ব্যবসার জন্য নগদ ১০ হাজার টাকা করে বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার সুনিল চন্দ্র ঘোষ জানান, নিষিদ্ধ সময় জেলেদের মাছধরা থেকে বিরত রাখার জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ওই সময় বিকল্প কর্মসংস্থার ও পুনর্বাসনের আওতায় উপজেলায় প্রায় ৩ হাজার জেলেকে খাদ্য ও আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে। নিষিদ্ধ সময়ে মাছ ধরা থেকে বিরত থাকতে জেলেসহ সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানিয়েছে।