৫২ জাতীয় ডেস্ক।।
বাংলাদেশে চলমান অবরোধ ও সহিংস রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত রপ্তানিকারকেরা আজ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে দেখা করে ২১টি দাবি উত্থাপন করেছেন। ব্যবসায়ীদের দাবি-দাওয়ার বিষয়ে অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘আমি চিন্তায় আছি। আমি বসব আপনাদের সঙ্গে। ব্যবস্থা একটা নেব। কালকে নেব বা পরশু নেব। তবে নেব।’
রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ, বিকেএমইএ ও বিটিএমএর নেতারা আজ সোমবার অর্থ মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যান। এ সময় রপ্তানিকারকদের পক্ষে বিজিএমইএর সভাপতি মো. আতিকুল ইসলাম চলমান হরতাল-অবরোধে ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ অর্থমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেন এবং পোশাক ও বস্ত্র খাতসহ সবগুলো রপ্তানি খাতে সহযোগিতা প্রদানের অনুরোধ জানান।
রপ্তানীকারকদের ২১টি দাবির মধ্যে আছে- রাজনৈতিক অস্থিরতার সময়কালে নতুন করে কোনো রপ্তানি ঋণ শ্রেণিবিন্যাস না করা, এই সময়ের মধ্যে ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হলে তিন মাসের পরিবর্তে ছয় মাসের মধ্যে ঋণ শ্রেণিবিন্যাস করা, পোশাকসহ সব রপ্তানিকারককে ঋণ পুনঃতফসিলীকরণ করার সুযোগ দেয়া, রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত পুনঃতফসিলীকৃত ঋণের কিস্তি স্থগিত রাখা, পাঁচ বছরের প্রকল্প ঋণ তিন বছর বাড়িয়ে আট বছরের কিস্তিতে পরিশোধ করার সুযোগ দেয়া, ৫০০ কোটি বা তার চেয়ে বেশি পরিমাণ ঋণ পুনঃতফসিলের যে সুযোগ জানুয়ারিতে দেয়া হয়েছে, তা সব রপ্তানিকারকের জন্য প্রযোজ্য করা ইত্যাদি।
এসব দাবি শুনে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ‘বিদ্যমান অবস্থায় আপনারা সাফার করছেন। তবে রাজনৈতিক এই পরিস্থিতির ইমপ্যাক্ট দুই মাসে ততটা হয়নি। দেখছি কী করা যায়।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, যে পরিস্থিতি চলছে, “তাতে আমি খুব চিন্তিত। কারণ সময়টা অনেক বড় বিষয়। টানা প্রায় দু্ই মাস হয়ে গেল এ পরিস্থিতি চলছে। এটার একটা শেষ থাকতে হবে। কিন্তু কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে না। এটা বিএনপির ডিউটি, তাদের কোনো ইন্ডিগেশন নেই। দলটি সংসদেও নেই। সংসদে থাকলে একটা ফোরাম থাকে।”
তিনি বলেন, “এটা একটি জাতীয় সমস্যা। তবে জাতীয় সঙ্কট বলতে আমার ভয় করে। কারণ এটা অতটা বিরাট নয়। তবে দেশের উন্নয়নের জন্য এটা একটা বড় বাধা।”
মতবিনিময় সভায় এফবিসিসিআই সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, বিজিএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ আতিকুল ইসলাম, বিটিএমএ সভাপতি তপন চৌধুরী, ইএবি সভপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী, এমসিসিআই সভাপতি সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর, বিকেএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি এ এইচ আসলাম সানি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।