৫২ আইন ও আদালত ডেস্ক।।
অবরোধকে কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে হরতাল-অবরোধে আইনগত বিধিনিষেধ আরোপে বিবাদীর নিষ্ক্রিয়তাকে কেন অবৈধ বিবেচনা করা হবে না সেটিও জানতে চাওয়া হয়েছে।
আজ (সোমবার) দুপুরে বিচারপতি কাজী রেজা উল হক ও বিচারপতি সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ব্যবসায়ীদের সংগঠন এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ ও বিটিএমইএর করা রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে সরকার, স্বরাষ্ট্র সচিব, অর্থ সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও সব রাজনৈতিক দলকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালত আর যেসব রুল দিয়েছে সেগুলো হলো- ‘যৌক্তিক আগাম নোটিশ না দিয়ে হরতাল আহ্বান করাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না’, ‘ক্রেডিট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরোর (সিআইবি) তালিকা ৬ জানুয়ারি থেকে হরতাল চালকালীন পর্যন্ত স্থগিত করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না’, ‘হরতাল-অবরোধে ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারের ফান্ড থেকে ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না’, ‘ব্যাংক সুদ মওকুফ করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না’ এবং ‘১২ বছরের জন্য সব ঋণকে পুনঃতফসিল করার নির্দেশ কেন দেয়া হবে না।’
আদালতে ব্যবসায়ীদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট কামরুল হক সিদ্দিকী। সঙ্গে ছিলেন ইমতিয়াজ মইনুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস।
অবরোধ-হরতালে নাশকতার চিত্র তুলে ধরে এর আগে শাহীনুর রহমান শাহীন নামে কেরানীগঞ্জের এক ব্যবসায়ী রিট আবেদন করলে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের বেঞ্চ গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ‘হরতাল ও অবরোধের নামে নৈরাজ্য রোধে’ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সরকারকে নির্দেশ দেয়। পাশাপাশি ‘নৃশংস অবরোধ’ কেন অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে একটি রুলও জারি করা হয়।