৫২ জাতীয় ডেস্ক।।
বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট দেশজুড়ে আবার ৭২ ঘণ্টার হরতালের ডাক দিয়েছে। রোববার সকাল ছয়টা থেকে বুধবার সকাল ছয়টা পর্যলন্ত এই হরতাল চলবে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ।
শনিবার বেলা তিনটায় বিএনপি ও ২০ দলের পক্ষে পাঠানো বিবৃতিতে আরো বলা হয়, চলমান অবরোধ অব্যাহত থাকবে। এ ছাড়া আগামী সোমবার দেশের সব জেলা, উপজেলা, পৌরসভা ও থানা পর্যায়ে এবং মহানগরের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গণমিছিল করবে ২০ দল।
নির্দলীয় সরকারের অধীনে গ্রহণযোগ্য জাতীয় সংসদ নির্বাচন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দাবি এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের গুম-খুন-অপহরণ, গণগ্রেফতারের প্রতিবাদসহ নানা দবি ও প্রতিবাদে এই হরতালের ডাক দেয়া হয়েছে বলে বিবৃতিতে বলা হয়।
বিবৃতিতে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলেন, “জাতিসংঘসহ সব আন্তর্জাতিক মহলের স্বীকৃতিবিহীন একটি প্রহসনমূলক নির্বাচনী নাটক মঞ্চস্থ করে আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের কবর রচনা করেছে। স্বঘোষিত স্বৈরাচারী সরকার দেশের জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ক্ষমতায় টিকে থাকার মহড়া দিয়ে যাচ্ছে। সংসদ, আইন-আদালত, প্রশাসনসহ সব গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান পদদলিত করে রাষ্ট্রকে এক ব্যক্তির হুকুমের দাসে পরিণত করতে চায় আওয়ামী লীগ।”
স্বাধীনতা-পরবর্তীকালে মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা নির্মুল করে আওয়ামী লীগ একদলীয় স্বৈরতন্ত্র চালু করেছিল- এমন দাবি করে সালাহ উদ্দিন বলেন, “জনগণের গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক অধিকার এবং বাক-ব্যক্তিস্বাধীনতা হরণের ইতিহাসই আওয়ামী লীগের ইতিহাস। গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধের ইতিহাসই আওয়ামী লীগের ইতিহাস। রক্ষীবাহিনীর গণহত্যার ইতিহাসই আওয়ামী লীগের ইতিহাস।”
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অভিযোগ করেন, বাকশালি শাসনের নতুন সংস্করণ অনুসরণ করছে বর্তমান শাসকগোষ্ঠী। বাংলাদেশ এখন রাজনৈতিক রাষ্ট্রের (Political State) চেহারা হারাতে বসেছে। জনগণ এখন রাষ্ট্রকে ভয় পায়। কর্তৃত্ববাদী সরকার রাষ্ট্রক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য চূড়ান্ত পর্যায়ের হত্যাযজ্ঞে মেতে উঠেছে।”
সরকারকে হুঁশিয়ার করে বিএনপির মুখপাত্র বলেন, “সীমাহীন জুলুম-নির্যাতন, হামলা-মামলায় জর্জরিত জনগণ যেকোনো মুহূর্তে অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে গণবিস্ফোরণ ঘটাতে প্রস্তুত।”
উন্নত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে বিবৃতিতে বলা হয়, “স্বৈরতান্ত্রিকতা, একনায়কতান্ত্রিকতা পরিহার করে রাষ্ট্রকে রক্ষা করুন এবং আপনার নিজের দলকেও রক্ষা করুন।”