এস.কে.দোয়েল তেঁতুলিয়া থেকে ॥
সোয়াইন ফ্লু প্রতিরোধে সীমান্তবর্তী উপজেলা তেঁতুলিয়ায় বিশেষ সতর্কতা ব্যবস্থা এখন পর্যন্ত গ্রহণ করা হয়নি। গঠন করা হয়নি কোন মেডিকেল টিম। প্রতিবেশী দেশ ভারতে ব্যাপক হারে সোয়াইন ফ্লু ছড়িয়ে পড়ায় সীমান্তবর্তী উপজেলায় অনুপ্রবেশ ঝুঁকির মধ্যে থাকায় বিভিন্ন সচেতন নাগরিকমহলে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। এ ব্যাপারে তেঁতুলিয়া সদর বিজিবি কোম্পানী কমান্ডার দিদার আহম্মেদ সহিত মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তেমন কোন তথ্য জানাতে পারেন নি। এমনকি তেঁতুলিয়ার ইউএনও শেখ মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন সহিত কথা বলে জানা যায়, এখন পর্যন্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইনফ্লুয়েঞ্জা মনিটরিং ও বিশেষ সতকর্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
উপজেলার প্রায় ১৯০ কিলোমিটার ভারতের সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিনই আসছে গরু-মহিষ। এছাড়াও দেশের অন্যতম বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে পরিবহনের মাধ্যমে মানুষ এবং মালামাল হয়ে আসছে। বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন ৫০/১০০টি ট্রাক ঢুকছে এ বন্দরে। ফলে সোয়াইন ফ্লুর ঝুঁকিতে রয়েছে তেঁতুলিয়া উপজেলাটি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও লাইন ডাইরেক্টরের (সিডিসি) পরিচালক অধ্যাপক ডাঃ আবুল খায়ের মোহাম্মদ শামছুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক পত্রে দেশের সকল সিভিল সার্জনকে ইনফ্লুয়েঞ্জা মনিটরিং করার নির্দেশ দেন। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়-ভারত সীমান্তের প্রবেশদ্বার থাকলে সেখানে সোয়াইন ফ্লুতে আক্রান্ত কোন রোগী সনাক্ত করা এবং মনিটরিং কার্যক্রম গ্রহণ করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলেও এখন পর্যন্ত স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন প্রকার দায়িত্ব ভূমিকা, মেডিকেল টিম গঠন না করায় সীমান্ত অঞ্চলে উদ্বেগের কারণ দেখা দিয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগকে সর্বোচ্চ সতর্কতাবস্থায় থাকার কথা থাকলেও তেঁতুলিয়ায় স্বাস্থ্য বিভাগে তেমন কোন কর্মকান্ড চোখে পড়ে না। তাই পুরো এলাকা জুড়ে এই সোয়াইন ফ্লু আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এছাড়াও জেলা, উপজেলা হাসপাতাল ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে সোয়াইন ফ্লু সনাক্তে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
এ ব্যাপারে আজ দুপুর ১টায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ পীতাম্বর রায়ের সাথে কথা বললে তিনি সোয়াইন ফ্লু প্রতিরোধে স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে ইনফ্রায়েড থার্মোমিটার পরীক্ষা যন্ত্র পাওয়ার কথা জানান।