৫২ খেলাধুলা ডেস্ক ।।
কুমার সাঙ্গাকারা ও তিলকারত্নে দিলশানের জোড়া সেঞ্চুরিতে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ১৪৮ রানের বিশাল জয় তুলে নিয়েছে শ্রীলঙ্কা।
হোবার্টে গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে স্কটল্যান্ডের সামনে ৯ উইকেটে ৩৬২ রানের পাহাড় দাঁড় করে লংকানরা। জবাবে ৪৩.১ ওভারে ২১৫ রানে অলআউট হয় স্কটিশরা। প্রথম ওভারেই হারাতে হয় কাইল কোয়েটজারকে। বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৫৬ রান করা কোয়েটজার মালিঙ্গার বলে তারই হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ইনিংসের দ্বিতীয় বলে। দলীয় ২৬ রানের মাথায় ক্যালাম ম্যাকলিওডকে বোল্ড করে ধাক্কাটা আরেকটু বাড়িয়ে দেন নুয়ান কুলাসাকেরা। ম্যাচ ম্যাচান-প্রিস্টন মমসেনের তৃতীয় উইকেট জুটি টেকে ১৮ রান।
৪৪ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর শতরানের জুটি গড়েন মমসেন-কোলম্যান। ১১৮ রানের চতুর্থ উইকেট জুটিটি ভাঙতেই হুড়মুড় করে পতন ঘটে স্কটিশদের বাকি উইকেটের। ফ্রেডি কোলম্যান ৭০ আর মমসেন ৬০ রান করেন।
এর আগে শ্রীলঙ্কার শুরুটা যদিও খুব একটা স্বস্তির ছিল না। ওপেন করতে নেমে ব্যাটে বল মিলাতে হিমশিম খাওয়া লাহিরু থিরিমান্নেকে শ্রীলঙ্কা হারায় পঞ্চম ওভারেই। ২১ বলে ৪ রান করে হাফফাঁস করতে থাকা থিরিমান্নে অ্যালাসদাইর ইভান্সের বলে দ্বিতীয় স্লিপে ক্যাচ দেন প্রিস্টন মমসেন।
২১ রানে প্রথম উইকেট পতনের পর দিলশানের সঙ্গে জুটি গড়েন সাঙ্গাকারা। পঞ্চাশ ওভারে ৩৬৩ রান তোলার অধিকাংশ কাজ করে যায় তাদের দ্বিতীয় উইকেট জুটি। ৩৫তম ওভারে যখন দিলশান জশ ড্যাবের শিকার হন, তার আগেই ৯৭ বলে তুলে নিয়েছেন সেঞ্চুরি। তার ১০৪ রানের ইনিংস ছিল ১০ চার আর ১ ছয়ে গড়া।
তার অন্যপাশে আশ্চর্য ধারাবাহিকতা ধরে রেখে যথারীতি সেঞ্চুরি করে গেছেন কুমার সাঙ্গাকারাও। দিলশানের পরের বলেই সেঞ্চুরি ছোঁয়া সাঙ্গাকারা শেষ পর্যন্ত থামেন ১২৪ রান করে। ৯৭ বলে খেলা ইনিংসটিতে ১৩ চারের পাশে ৪টি ছয়।
মাহেলা জয়বর্ধনের পরের বলেই ইনিংসের তৃতীয় শিকার হিসেবে কুমার সাঙ্কাকারাকেও তুলে নেন জশ ড্যাবে। সেই সঙ্গে হয়ে গেছেন চলতি বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারিও। এক উইকেট কম ১২ উ্ইকেট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছেন নিউজিল্যান্ডের ট্রেন্ট বোল্ট।
২৪৪ রানে চতুর্থ উইকেট হারানোর পর বাকিটা সময় স্কটিশ বোলাররা খানিকটা নিয়ন্ত্রণে সুযোগ পান। তবে ম্যাথুজের ২০ বলে খেলা ৫১ রানের টর্নেডো ইনিংস, কুশল পেরেরার ১৩ বলে ২৪ আর কুলাসাকেরার ১৭ বলে ১৮ রানের সুবাদে সাড়ে তিনশো পেরোয় শ্রীলঙ্কার ইনিংস।
আজ নিয়ে টানা চার খেলায় সেঞ্চুরি করা কুমার সাঙ্গাকারা ম্যান অব দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হয়েছেন।