৫২ রাজনীতি ডেস্ক ।।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমদকে খুঁজে বের করে রোববার হাইকোর্টে কেন হাজির করা হবে না, জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।
সালাহউদ্দিনের পক্ষে করা আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী ও বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার দুপুরে এ আদেশ দেন।
আদালতে সালাহউদ্দিনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও খন্দকার মাহবুব হোসেন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
এর আগে, বৃহস্পতিবার সকালে সালাহউদ্দিনকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে আদালতে হাজির করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে একটি ফৌজদারি আবেদন করেন তার স্ত্রী সাবেক সংসদ সদস্য হাসিনা আহমদ।
রিটে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের আইজিসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন শুনানি করবেন বলে জানিয়েছেন অপর আইনজীবী ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী।
এর আগে বুধবার রাতে সালাহউদ্দিন আহমেদের সন্ধান চেয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে জিডি করতে চাইলেও পুলিশ তা নেয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন তার স্ত্রী হাসিনা আহমেদ।
তিনি অভিযোগ করেন, সালাহ উদ্দিন আহমেদকে ফিরে পেতে তিনি উত্তরা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করতে গেলে পুলিশ তা গ্রহণ করেনি। তিনি বলেন, কোনো যৌক্তিক প্রেক্ষাপট ছাড়া সাধারণ ডায়েরি নিতে পারবে না বলে জানিয়েছে উত্তরা থানা পুলিশ। রাত সাড়ে ১০টার দিকে সালাহ উদ্দিন আহমেদের নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে জিডি করতে না পেরে উত্তরা থানা থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান এক বিবৃতিতে দাবি করেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ২০-দলীয় জোটের মুখপাত্র সালাহ উদ্দিন আহমেদকে মঙ্গলবার রাতে উত্তরার একটি বাসা থেকে সাদা পোশাকে পুলিশ উঠিয়ে নিয়ে গেছে।
তবে পুলিশ, র্যাব বা গোয়েন্দা বাহিনীর কেউই সালাহউদ্দিন আহমেদকে আটকের দায় স্বীকার করেননি। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া উইংয়ের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার জাহাঙ্গীর সরকার বলেন, এ ধরনের কোনো খবর আমাদের কাছে নেই। মিডিয়া উইংয়ের উপ-পুলিশ কমিশনার মাসুদুর রহমানও বলেন, আমরা সালাহউদ্দিনকে আটক করিনি। কেউ আটক করে আমাদের কাছে হস্তান্তরও করেননি।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী গ্রেফতার হওয়ার পর সালাহ উদ্দিন আহমেদ দল ও জোটের পক্ষে নিয়মিত বিবৃতি দিয়ে আসছিলেন।