৫২ জাতীয় ডেস্ক ।।
গ্রেফতারি পরোয়ানা অনুযায়ী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া আদালতে আত্মসমপর্ণ করবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে হরতাল, অবরোধ ও অগ্নিদগ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে আর্থিক সহায়তা প্রদানকালে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি আশা করি যে, বিএনপি নেত্রী আইন-আদালত মানবেন। তার বিরুদ্ধে জারিকৃত পরোয়ানা অনুযায়ী তিনি ভদ্রলোকের মতো আদালতে আত্মসমপর্ণ করবেন। অন্যথায় জনগণ তাকে ছেড়ে দেবে না এবং তিনি জনগণের সামনে যেতে পারবেন না।’
শেখ হাসিনা বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের চলমান হরতাল, অবরোধ ও অগ্নি হামলায় নিহত ৪ জনের পরিবার ও আহত ৩৩ ব্যক্তি এবং ক্ষতিগ্রস্ত ১৯৯টি বাস-ট্রাক ও অন্যান্য যানবাহনের মালিকের হাতে ৫ কোটি ৪২ লাখ ৮ হাজার টাকার চেক তুলে দেন।
ধ্বংসাত্মক রাজনীতি বন্ধে খালেদা জিয়ার প্রতি তাঁর আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেত্রী বাংলাদেশকে ধ্বংসের পথে নিতে চান।
শেখ হাসিনা বলেন, “খালেদা জিয়া আইন-আদালত কিছুই মানেন না। ওনার দুর্নীতির মামলার ৬৭ বার হাজিরার তারিখ ছিল। কিন্তু উনি মাত্র ৭ দিন আদালতে গিয়েছেন। অধিকাংশ দিন আদালতে হাজির না হয়ে উনি মূলত আদালত অবমাননা করেছেন। এছাড়া বিএনপি নেত্রী তার ক্যাডারদের নিয়ে আদালতে গিয়ে আদালতের কাছে আইনজীবীদের লাঞ্ছিত করে ও গাড়ি পুড়িয়ে আদালতের মর্যাদা ক্ষুণ্নেরও চেষ্টা করেছেন।”
এদিকে, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুদকের দয়ের করা দু’টি দুর্নীতি মামলায় আদালত পরিবর্তন ও বিচারিক আদালতের জারি করা গ্রেফতারি পরোয়ানা স্থগিত চেয়ে পেশকৃত আবেদনের শুনানি আগামী ১ এপ্রিল পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে।
আজ বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
এর আগে গত ৫ মার্চ শুনানির দিন পিছিয়ে আজ বৃহস্পতিবার ধার্য করা হয়েছিল। গত ২৮ জানুয়ারি বিচারিক আদালতের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে আদালত পরিবর্তনের জন্য হাইকোর্টে আবেদনটি করা হয়। পরে এ আবেদনের সম্পূরক হিসেবে বিচারিক আদালতের জারি করা খালেদা জিয়াকে গ্রেফতারে পরোয়ানা স্থগিত চেয়েও আবেদন দাখিল করা হয় হয়।
খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতেই মামলায় গত বছর ২২ সেপ্টেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। মামলায় পরপর তিনটি ধার্য তারিখে হাজির না হওয়ায় খালেদা জিয়া ছাড়াও আরো দুই আসামির বিরুদ্ধে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি জামিন বাতিল করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। মামলার অন্য দুই আসামি হলেন- মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ।