৫২ রাজনীতি ডেস্ক ।।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, “কোর্টে গিয়ে সারেন্ডার করুন। নইলে সরকার আদালতের নির্দেশ পালন করতে বাধ্য হবে।”
শনিবার সকালে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন। খালেদা জিয়া মিথ্যাচার করেছেন দাবি করে শেখ হাসিনা বলেন, ” সরকার নাকি গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করেছে। তাহলে গতকাল একজন ফেরারি আসামির প্রেস কনফারেন্সে সব গণমাধ্যমকর্মীরা কেন গেল? তাহলে আমরা কিভাবে তাদের স্বাধীনতা হস্তক্ষেপ করেছি?
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “মিথ্যাচার তাদের চরিত্র। আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মানুষ মারে আর দোষ দেয় আমাদের। এই মিথ্যাচারের জন্য হিটলারের মন্ত্রী গোয়েবলস বেঁচে থাকলে লজ্জা পেতেন।”
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সংলাপের প্রস্তাব নাকচ করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “যার হাতে মানুষ পোড়া গন্ধ, যে মানুষকে মানুষ হিসেবে গণ্য করে না, যে জঙ্গিনেত্রী, তার সঙ্গে কিসের সংলাপ?”
তিনি দাবি করেন, “বিএনপি একটি অবৈধ দল। দলটির জন্মই হয়েছে অবৈধ পন্থায়। বিএনপি ক্ষমতায় আসে লুটপাট করে খাওয়ার জন্য। এজন্য দেশের উন্নতি তাদের পছন্দ হয় না।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিএনপি নেত্রী হরতাল-অবরোধের ডাক দিয়েছেন। তার হরতাল তো তার নিজ দলের নেতারাও মানেন না। বিএনপি নেতাদের সব ব্যবসা চলছে। তারা গাড়িতে ঘুরে বেড়ান। আর বিএনপি নেত্রী নিজেকে অফিসে অবরুদ্ধ রেখে একের পর এক কর্মসূচি দিচ্ছেন।”
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমদকে খালেদা জিয়াই আন্ডার গ্রাউন্ডে পাঠিয়েছে বলে দাবি করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সালাহ উদ্দিনকে নিজেই আন্ডার গ্রাউন্ডে পাচার করে খালেদা জিয়া এখন সরকারের ওপর দায় চাপাচ্ছে।”
তিনি বলেন, “২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে না আসার সিদ্ধান্ত খালেদা জিয়ার নিজের ব্যাপার। এখন আবার তিনি সংলাপে বসতে চান। সমঝোতা চান। এটা কেমন চরিত্র। সারা বিশ্ব এখন ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে স্বীকৃতি দিয়েছে।”
শেখ হাসিনা বলেন, “বেগম জিয়ার বক্তব্যে নাশকতায় দগ্ধদের জন্য কোনো সমবেদনা নেই বলেও দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী। দেশের মানুষ লেখাপড়া শিখুক বিএনপি নেত্রী তা চান না। পরাজিত শক্তির পদলেহন করাই তাদের চরিত্র।”