৫২ মফস্বল ডেস্ক।।
২০ জানুয়ারি শহীদ আসাদ দিবস। তাই শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় নরসিংদীবাসী স্মরণ করলো শহীদ আসাদকে।
দিবসটি পালন উপলক্ষে শিবপুর উপজেলার ধানুয়া গ্রামের শহীদ আসাদের মাজার জিয়ারত ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে আসাদের মাজারে ফুলের তোরা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান ডাকসুর সাবেক জিএস ও জেলা বিএনপির সভাপতি খায়রুল কবির খোকন ও নেতৃবৃন্দ।
এর পর বেলা ১১টার দিকে ফুলের তোরা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান জানান, নরসিংদী-৩ শিবপুর আসনের সংসদ সদস্য সিরাজুল ইসলাম মোল্লা ও আওয়ামী লীগের নেতারা।
এদিকে শিবপুর শহীদ আসাদ গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং শিবপুর সরকারী শহীদ আসাদ কলেজ হলরুমে আলাদা আলোচনা সভা, মিলাদ মাহফিল ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এ সময় শিবপুর সরকারি শহীদ আসাদ কলেজের প্রধান শিক্ষক হাসনা হেনা, শহীদ আসাদ হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবুল হারিস রিকারদার কালা মিয়াসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতারা বক্তব্য দেন।
উল্লেখ্য, ১৯৬৯ সালের এ দিনে তৎকালীন পূর্বপাকিস্তানে স্বৈরাচারী আইয়ুব সরকার তথা পাকিস্তানি আমলা-সামরিক শাসকদের বিরুদ্ধে গণবিস্ফোরণ ঘটেছিল।
ষাটের দশকজুড়ে আইয়ুব শাহীর বিরুদ্ধে এবং বাঙালির স্বাধিকার আদায়ের লক্ষ্যে যে বেগবান আন্দোলন গড়ে উঠেছিল, তারই প্রবল বিস্ফোরণ ঘটেছিল ১৯৬৯ সালের ২৪ জানুয়ারি। মূলত ২০ জানুয়ারিই গণঅভ্যুত্থান ঘটে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আসাদুজ্জামানের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে।
২০ জানুয়ারি ছাত্রজনতা ১৪৪ ধারা পদদলিত করে অকুতভয়ে পুলিশ-ইপিআরের বিরুদ্ধে লড়াই করছিল। সেদিন জনতার মারমুখো প্রতিবাদের মুখে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছিল। অকেজো হয়ে গিয়েছিল কাঁদানে গ্যাস।
সব বাধা অতিক্রম করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবন থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল বিরাট শোভাযাত্রা শহীদ মিনারের দিকে, শহীদ মিনার হয়ে মেডিকেল কলেজের দিকে, সেই শোভাযাত্রার অন্যতম নায়ক আসাদুজ্জামানকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল মেডিকেল কলেজের সামনে।
তারপর জনতা আসাদের লাশ ছিনিয়ে মুখোমুখি লড়েছিল সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে আসাদের রক্তাক্ত শার্ট নিয়ে।