৫২ রাজনীতি ডেস্ক ।।
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি শওকত মাহমুদ সরকারকে উদ্দেশ করে বলেছেন, হিম্মত থাকলে খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার করুন। সংলাপের কথা বলায় বেগম খালেদা জিয়াকে গ্রেফতারের হুমকি দেয়া হচ্ছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত এক পেশাজীবী সমাবেশে তিনি এ অভিযোগ করেন। শওকত মাহমুদ বলেন, “বর্তমানে বাংলাদেশে যা চলছে এটা সম্পূর্ণ ফ্যাসিবাদি কর্মকাণ্ড। এটি বিশ্বের সর্বনিকৃষ্ট ফ্যাসিবাদি কর্মকাণ্ড।”
তিনি বলেন, “দেশে জনগণের কোনো নিরাপত্তা নেই। প্রতিটি রাতই এখন গুম-খুনের রাতে পরিণত হয়েছে। এই গুম-খুন ও অপহরণের দায় সরকার কোনোভাবেই এড়াতে পারবে না।”
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “মানুষের মত প্রকাশের কোনো স্বাধীনতা নেই। রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্বাভাবিকের জন্য কেউ সংলাপের কথা বললেই তাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে।”
তিনি বলেন, “আমরা গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করছি, কিন্তু কেউ কেউ এটাকে সহিংসতা বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে। তাদেরকে বলতে চাই, আপনারা যতই অপপ্রচার চালান না কেন, আন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হবে।”
শওকত মাহমুদ আরো বলেন, “গেস্টাপো বাহিনী বা সরকারের যে বাহিনীই সালাহউদ্দিন আহমেদকে তুলে নিয়ে যাক তার দায়দায়িত্ব সরকারকেই বহন করতে হবে। তাকে খুঁজে দিতে হবে।”
সভাপতির বক্তব্যে পেশাজীবী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক রুহুল আমিন গাজী বলেন, “চলমান সব ধরনের সহিংসতার দায়ভার ফ্যাসিবাদি আওয়ামী লীগ সরকারের। দেশে গণতন্ত্র নেই, জীবনের নিরাপত্তা নেই। গুম-খুন-হত্যা ও মামলা হচ্ছে এই সরকারের প্রধান হাতিয়ার।”
বিএনপির মুখপাত্র সালাহউদ্দিন আহমেদ সম্পর্কে তিনি বলেন, “কী অপরাধ তার। তিনি তো মাত্র একটি দলের মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। এটাই কী তার অপরাধ? তাকে ধরে নিয়ে গিয়ে সরকার আজ অস্বীকার করছে। এই সরকারের কাছে কোনোভাবেই ন্যায়বিচার আশা করা যায় না।”
রুহুল আমিন গাজী বলেন, “৫ জানুয়ারির ভোটারবিহীন নির্বাচনই দেশের প্রধান সমস্যা। এর জন্য দায়ী একমাত্র সরকার। এ জন্য তাদেরকেই এর সমাধান করতে হবে।”
তিনি অবিলম্বে সরকারকে পদত্যাগ করে সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টির দাবি জানান।
সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, পরিষদের সদস্য সচিব ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি এ কে এম আজিজুল হক, প্রকৌশলী আ ন হ আকতার হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক তাহমিনা বেগম প্রমুখ।