৫২ রাজনীতি ডেস্ক ।।
দেশব্যাপী অবরোধের পাশাপাশি ২০ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে বুধবার ভোর ৬টা থেকে শুক্রবার ভোর ৬টা পর্যন্ত ৪৮ ঘন্টার হরতাল আহ্বান করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র যুগ্ম-মহাসচিব বরকত উল্লাহ বুলু গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে নতুন করে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
ঘোষিত কর্মসূচী অনুযায়ী, হরতালের মধ্যেই বৃহস্পতিবার সারা দেশে ২০ দলীয় জোটের উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করা হবে।
হরতাল শেষে শুক্রবার সারা দেশে নিখোঁজ বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদের জন্য সকল মসজিদে দোয়া এবং অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে প্রার্থনা করার জন্যও ২০ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
২০ দলীয় জোটের নেতা-কর্মী ছাড়াও সকল গণতান্ত্রিক ব্যক্তি ও শক্তিসহ দেশবাসীর প্রতিও ঘোষিত কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পালনের আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বরকত উল্লাহ বুলু উল্লেখ করেন,“দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসন করতে এবং জনগণের ভোটের অধিকারসহ অন্যান্য গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে বিএনপি চেয়ারপার্সন,২০ দলীয় জোটের প্রধান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন। সিভিল সমাজ ও পেশাজীবীসহ দেশের প্রায় সকল গণতান্ত্রিকমহল এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও একটি সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে আলোচনার পথে সংকট নিরসনের অব্যাহত আহ্বান জানিয়ে আসছেন।’
কিন্তু, দুর্ভাগ্যের বিষয়, ভোটারবিহীন ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন নির্বাচনী প্রহসনের মাধ্যমে ক্ষমতা করায়ত্ত্বকারী সরকার কোনো আহ্বানেই সাড়া দেয় নি। বরং তারা হত্যা, গুম, অপহরণ, জুলুম-নির্যাতন ও গ্রেফতারের মাধ্যমে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে তথাকথিত উন্নয়নের ধারার নামে তাদের অবৈধ শাসন এবং লুটপাট ও দুর্নীতির ধারাকেই প্রলম্বিত করতে চাইছে।
বুলু আরো উল্লেখ করেন,“সরকারের সীমাহীন অপকর্ম ও রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের সকল পথ তারা রুদ্ধ করেছে। জনগণের বিপুল সমর্থিত বিরোধী দলের স্বাভাবিক রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক তৎপরতা পরিচালনার সুযোগ নেই। এ সবের প্রকৃত চিত্র সংবাদ-মাধ্যমে তুলে ধরার সুযোগও সংকুচিত করে ফেলা হয়েছে। পাশাপাশি বিরোধী দলের বিরুদ্ধে তারা একটানা মিথ্যাচার করে চলেছে। এমতাবস্থায় দেশব্যাপী অবরোধের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়া ছাড়া আমাদের সমনে আর কোনো পথ খোলা রাখা হয় নি।’
বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, বিএনপির অন্যতম যুগ্ম-মহাসচিব, সাবেক প্রতিমন্ত্রী জনাব সালাহউদ্দিন আহমেদকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাবার পর ৭ দিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত তাকে মুক্তি দেয়া কিংবা আদালতে হাজির করা হয় নি। অতি সম্প্রতি জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আনিসুর রহমান তালুকদার খোকনসহ দেশব্যাপী আরো অনেক নেতা-কর্মীর ক্ষেত্রেও একই ধরনের ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
তিনি আরো বলেন,“জনাব সালাহউদ্দিনকে গ্রেফতারের কথা অস্বীকার করে সরকারের পক্ষ থেকে উচ্চ আদালতে সাজানো গল্প ফাঁদা হয়েছে এবং শীর্ষ পর্যায় থেকে উৎকট ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করা হয়েছে। এতে তার পরিবারের এবং আমাদের উৎকণ্ঠা তীব্র হচ্ছে।’