মঙ্গলবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব আব্দুল লতিফ জনি স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে রিজভী আহমেদ এসব কথা বলেন।
রিজভী আহমেদ বলেন, গতরাতে ঢাকা মহানগর খিলগাঁও থানা বিএনপি নেতা দিপু সরকারকে এবং সোমবার বিকালে যুবদল ওয়ার্ড সেক্রেটারি নুরুজ্জামান জনি ও মাইনুদ্দিনকে জেলগেট থেকে সাদা পোষাকধারীরা ধরে নিয়ে যায়। আজ (মঙ্গলবার) ঢাকা মেডিকেলে জনির গুলিবিদ্ধ লাশ আবিষ্কৃত হলেও এখনও পর্যন্ত দিপু সরকার ও মাইনুদ্দিনের কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছে না।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ছত্রছায়ায় আওয়ামী সশস্ত্র সন্ত্রাসীরাও নেতা-কর্মীদের ওপর বর্বরোচিত হামলা চালাচ্ছে।
বর্তমান সরকারের অত্যাচার অতীতের সকল রেকর্ডকে ম্লান করেছে মন্তব্য করে রিজভী আহমেদ বলেন, নীলনকশার মাধ্যমে জনপ্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কব্জায় নিয়ে বর্তমান অবৈধ সরকার দেশে যে ভয়াবহ দুঃশাসন চালিয়ে যাচ্ছে- তা অতীতের সকল স্বৈরাচারী দুঃশাসনের রেকর্ডকে ম্লান করে দিয়েছে।
তিনি বলেন, ৫ জানুয়ারী প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে জোর করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে বর্তমান শাসকগোষ্ঠী ভালভাবেই বুঝতে পারছে যে তাদের পক্ষে কোনো জনসমর্থন নেই, আর তাই তারা মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারগুলো হরণের পাশাপাশি নিজেদেরকে রক্ষা করার জন্য এখন বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের অপহরণ করে গুম করতে শুরু করেছে।
দেশে এখন দ্বিতীয় বাকশালী শাসন চলছে জানিয়ে রিজভী আহমেদ বলেন, সব ধরনের অপকর্মই বর্তমান অবৈধ সরকারের অনুষঙ্গ হয়ে গেছে। অবৈধ ক্ষমতাসীনদের পরিচালিত গুম খুনের পাশাপাশি চরম দাম্ভিকতা এবং রাষ্ট্র শাসনে অন্যের মতামতের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শণ দেশবাসীকে গভীর আতঙ্ক ও উদ্বেগের মধ্যে ঠেলে দিয়েছে।
লক্ষ অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত চলমান আন্দোলন অব্যাহত থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে দেশব্যাপী লাগাতার অবরোধ কর্মসূচি চলছে। জনগণের অধিকার আদায়ের বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত দেশের ষোল কোটি মানুষকে সাথে নিয়ে ২০ দলীয় জোট আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যেতে দৃঢ় প্রতিজ