৫২ লাইফ স্টাইল ডেস্ক ।।
একজন উদ্যোক্তাকে উদ্যোক্তা হিসেবে দেখা উচিৎ নারী উদ্যোক্তা হিসেবে নয়। কিন্তু এই মুহর্তে আমাদের দেশে নারী তথা নারী উদ্যোক্তা ও নারী পেশাজীবিরা পুরষদের মতো নির্বিঘ্নে কাজ করার সুযোগ পাননা।
এটা সমাজের সমস্যা হোক, দেশের সমস্যা হোক এটা একটা সমস্যা। নারীরা এমন কিছু সমস্যা মোকাবিলা করেন যেটা একই সমাজের একজন পুরুষকে মোকাবেলা করতে হয়না।
আজ সেইরকম এক নারী উদ্যোক্তার সাথে পরিচিত হবো আমরা । তিনি হলেন একাদিক এ্যাওর্য়াড পাওয়া একজন সংগ্রামী সফল নারী উদ্যোক্তা, মরহুম ডা. মন্টু হালদারের তৃতীয় সন্তান সুনামধন্য বিউটিশিয়ান শাহনাজ পারভীন, তিনি অনেকের কাছে অপরিচিত হলেও তার ব্যাপক পরিচিতি আছে সমাজের অবহেলিত অসহায় বেকার তরুনী, নারীদের মাঝে।
সফল নারী উদ্যোক্তা শাহনাজ পারভীন স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে ঢাকর মিরপুর এলাকায় জন্মগ্রহন করেন, রাজধানীর ইডেন মহিলা কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে চাকুরীতে যোগদান করলেও স্বামী আশরাফ হোসেনের বাধার মুখে চাকুরি ছেড়ে দিয়ে স্বামীর সহায়তায় বিউটিশিয়ানের প্রশিক্ষণ নিয়ে শুরু করেন বিউটি পর্লার ব্যবসা, শৈশবথেকেই তার ইচ্ছা ছিলো একদিন সে সফল নারী উদ্যোক্তা হিসেবে পরিচিতি পাবেন এবং সমাজের অবহেলিত নারীদের বিভিন্ন ভাবে সহায়তাকরে তাদেরকে প্রতিষ্ঠিত করবেন।
বর্তমানে তার ব্যক্তিগত মলিকানায় রয়েছে ২ টি বিউটি পার্লার, She gym & beauty care. এখানে ১১ জন নারী কমরত আছেন যাদেরকে তিনিই প্রশিক্ষণ দিয়ে এখানে চাকুরী দিয়েছেন, এ ছাড়াও তিনি বেকার অসহায় তরুনীদের বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ দিয়ে সহায়তাকরে-থাকেন, এই কজের স্বকৃতি হিসেবে পেয়েছেন স্বাধীনতা সংসদ এ্যাওয়াড – ২০১৪, কবি বেগম সুফিয়া কামাল স্মৃতি পদক – ২০১৩, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম সম্মাননা পুরস্কার ২০১৪, আলোর ভুবন ভরা সম্মাননা পুরস্কার ২০১৪, ৭ম মিজাফ ক্রিয়েটিভ এ্যাওয়াড – ২০১৪, নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু স্মৃতি এ্যাওয়াড ।
অবসরে ভ্রমন-পিপাসু শাহনাজ পারভীন পছন্দ করে ভ্রমন করতে, তিনি দেশের বিভিন্ন যায়গায় ভ্রমনের পাশাপাশি ভ্রমন করেছেন পূথিবীর একাধিক দেশে। হাবীব ও ন্যান্সির গাণ তার ভালোলাগে, ভাষাগত দক্ষতা রয়েছে বাংলা ও ইংরেজিতে , অপছন্দের তালিকায় রয়েছে পর-নিন্দাকরা, অহংকার করা, মিথ্যা কথা বলা।
সফল নারী উদ্যোক্তা শাহনাজ পারভীন বলেন জিবনে অনেক পেয়েছি এবার কিছু দিতে চাই আমি সমাজের অবহেলিত মানুষ বিশেষ করে নারীরা যারা আমাদের সমাজে অনেক ক্ষেত্রে অসহায় তাদেরকে নিয়ে কাজ করতে চাই, তাদেরকে প্রশিক্ষণ দিয়ে আত্বর্নিভরশীল বানাতে চাই এই জন্য সকলে আমাকে দোয়া ও সাহায্য সহযোগিতা করবেন বলে আমি প্রত্যাশা করি।