৫২ জাতীয় ডেস্ক ।।
বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় সম্প্রতি ভূমি অফিসে আগুন দিয়ে দলিলপত্র ধ্বংসের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের জমি ও সম্পদ বাজেয়াপ্ত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি রোববার সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও জাতীয় ইমাম সম্মেলনে প্রধান অতিথির ভাষণে এ নির্দেশ দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন,‘আমি এরইমধ্যে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে ভূমি অফিসগুলোতে অগ্নিসংযোগকারী অপরাধীদের খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছি। আমি এখন ওইসব অপরাধীর জমি ও সম্পদ বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দিচ্ছি।’
শেখ হাসিনা বলেন,‘ওইসব অপরাধীদের; তাদের বাপ-দাদার সম্পত্তিতেও কোনো অধিকার থাকবে না। তারা তাদের নিজ এলাকায়ও থাকতে পারবে না। আমরা তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই কঠোর ব্যবস্থা নেবো।’
বিএনপি-জামায়াতের হরতাল অবরোধে গত তিন মাসে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিপুলসংখ্যক ভূমি অফিস পুড়িয়ে দেয়ার প্রেক্ষাপটে এ নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর এ ধরনের নির্দেশকে তার এখতিয়ার বহির্ভূত এবং চরম ফ্যাসিবাদী মনোভাবের বহি:প্রকাশ বলে মনে করেন, দৈনিক দিনকাল পত্রিকার সম্পাদক ড.রেজোয়ান সিদ্দিকী।
তিনি উল্লেখ করেন, যে কোনো অপরাধের জন্য আইন আছে, শাস্তির বিধান আছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নিজেই যখন শাস্তি নির্ধারণ করে দেন তখন আইনের শাসন লংঘিত হয়। এর ফলে দেশে নৈরাজ্য বৃদ্ধি পাবে।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার রেডিও তেহরানকে বলেন, দেশের প্রচলিত আইনে সুনির্দিষ্ট অপরাধের সুনির্দিষ্ট শাস্তির বিধান রয়েছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নাগরিকের জমি কেড়ে নেবার নির্দেশ দিয়ে প্রমাণ করলেন তিনি আইন আদালত বিচার কিছুই তোয়াক্কা করেন না।
প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশ জনগণের সাংবিধানিক অধিকার বিরোধী বলে উল্লেখ করে বাসদের কেন্দ্রীয় নেতা রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, এর ফলে দেশে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসই বরং বৃদ্ধি পাবে।
গতকালের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শ্রেষ্ঠ ইমাম ও শিশু-কিশোর সংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
ধর্মবিষয়ক মন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বজলুল হক হারুন।