৫২ রাজনীতি ডেস্ক ।।
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার চলাফেরার উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া,ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ শীর্ষ নেতাকর্মীদের মুক্তি ও নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা হলেই কেবল বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারে।
মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার একটি অনলাইন বার্তা সংস্থার সাথে একান্ত কথোপকথনে এসব কথা বলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান।
বিএনপি’র এসব পূর্ব শর্ত জানাতে খুব শিগগিরই সংবাদ সম্মেলন হতে পারে। তবে এ বিষয়টি এখনো আলোচনাধীন রয়েছে বলে আবদুল্লাহ আল নোমান জানান।
সরকারের সঙ্গে সমঝোতা না হলে বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না বলেও সাফ জানিয়ে দেন বিএনপি’র এ নেতা।
তিনি বলেন,‘বিএনপি নীতিগতভাবে নির্বাচনে যাওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা বিএনপিকে নির্বাচন থেকে বিরত রাখার জন্য উসকানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছে। অপরদিকে নির্বাচন কমিশনও শক্তিশালী ভূমিকা রাখছে না। তাই নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে কি না, সে বিষয়ে বিএনপিসহ দেশবাসীর মনে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে।’
নোমান বলেন,‘বর্তমান বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতারা জেলে আছেন, অনেকে আত্মগোপনে রয়েছেন। এ পরিস্থিতিতে দেশের একটি বৃহত্তম রাজনৈতিক দল কীভাবে নির্বাচনে যেতে পারে?’
বিএনপি যদি আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে তাহলে চলমান আন্দোলন বহাল থাকবে কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,‘নির্বাচন আন্দোলনেরই একটি অংশ। তাই বিএনপি নির্বাচনে গেলেও আন্দোলন চলবে।’
এ প্রসঙ্গে বিএনপি জোটের শরিক বাংলাদেশ জাতীয় দলের সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা বলেন, বিএনপি একটি নির্বাচনমুখী দল এবং ২০-দলীয় জোটও চায় অবাধ, সুষ্ঠু ও সকলের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। সেজন্যই বিরোধী জোট আন্দোলন করছে। আর সে রকম পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে তারা অবশ্যই নির্বাচনে যাবে।
দুই বড় জোটের বাইরে সিপিবি-বাসদের বাম জোট কী পরিকল্পনা করছে সে প্রসঙ্গে বাসদের কেন্দ্রীয় নেতা রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির বাইরে নগরবাসীর নাগরিক সুবিধার বিষয়টিকে সামনে রেখে তারা ঢাকা সিটি নির্বাচনে প্রার্থীতা মনোনয়ন দিয়েছে। নির্বাচনে অংশ নেয়ার মধ্য দিয়ে তারা সরকারের কূটকৈৗশল বা অগণতান্ত্রিক চরিত্রকে জনগণের নিকট আরো খোলাসা করে দিতে পারবে।
এদিকে, ঘোষিত তফসিল আনুযায়ী তিন সিটি করপোরশন নির্বাচনে অংশ নেয়া না নেয়ার বিষয়ে খুব শিগগিরই সিদ্ধান্তে পৌঁছাবে বিএনপি। দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দুই এক দিনের মধ্যে এ বিষয়ে দলীয় অবস্থান স্পষ্ট করবেন বলে জানা গেছে। সিটি নির্বাচন ইস্যুতে কাজ করতে খালেদা জিয়া দলের সিনিয়র কয়েকজন নেতার পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক একজন ভিসি, কয়েকজন বিশিষ্ট আইনজীবী ও বুদ্ধিজীবীকে দায়িত্ব দিয়েছেন।