৫২ জাতীয় ডেস্ক ।।
নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার লাঙ্গলবন্দে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মহাষ্টমীতে পুণ্যস্নান করতে গিয়ে ভিড়ের চাপে পদদলিত হয়ে ১০ নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজন পুরুষ ও সাতজন নারী। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ৫০ জনের বেশি মানুষ।
শুক্রবার ভোরে লাঙ্গলবন্দের ব্রহ্মপুত্র নদের রাজঘাট এলাকাতে স্নান করার সময় অতিরিক্ত মানুষের চাপে এক পর্যায়ে অনেকেই হুড়োহুড়ি শুরু করেন। ওই সময়ে পদদলিত হয়ে ১০ জনের মৃত্যু ঘটে। নিহতরা হলেন- মাদারীপুরের নিতাই চন্দ্র দাশ ও বাবুল বিশ্বাস, কুমিল্লা জেলার চান্দিনার রঞ্জিত মল্লিক, দাউদকান্দির কানন বালা, মেঘনা থানার তুলসী দেবনাথ, রাজধানীর ধানমণ্ডি জিগাতলার ভগবতী দাশ, লালবাগের রাখি, মানিকগঞ্জের মালতী দাশ, নোয়াখালীর কবিরহাটের ভানুমতি দাশ। এছাড়া ১১ বছরের এক মেয়ে শিশু রয়েছে বলেও জানায় পুলিশ।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) মোতালেব হোসেন জানান, সকালে পুণ্যার্থীরা একটি বেইলি সেতু ধরে হাঁটছিলেন। এ সময় ধাক্কায় কয়েকজন সেতুর নিচে পড়ে যান। এর কিছুক্ষণের মধ্যে তাঁদের গায়ের ওপর পড়ে যান আরো কিছু লোক। এর পর স্রোতের মতো পড়ে যাওয়া লোকজনের ওপর দিয়ে লোকজন চলতে থাকে। এতে সাত নারীসহ ১০ জন পদদলিত হয়ে নিহত হন। তিনি বলেন, নিহত ব্যক্তিদের বেশির ভাগ চল্লিশোর্ধ্ব।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারায়ণগঞ্জের লাঙ্গলবন্দের ব্রহ্মপুত্র নদে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অষ্টমী পুণ্যস্নানে পদদলিত হয়ে ১০ জনের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ শোক প্রকাশ করা হয়। প্রধানমন্ত্রী মৃতদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেছেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
প্রতিবছরের মতো এবারও শুক্রবার ভোর থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র অষ্টমীস্নান শুরু হয়েছে। ব্রহ্মপুত্র নদে হাজারো পূণ্যার্থীর এ স্নান চলবে শনিবার ভোর পর্যন্ত।
পূণ্যস্নান উপলক্ষে বৃহস্পতিবার থেকেই বন্দর থানার লাঙ্গলবন্দে হাজার হাজার পূণ্যার্থীর ঢল নামে। নিজেদের পাপ মোচনের জন্য প্রার্থনায় বিদেশ থেকেও অনেকে এসেছেন বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।