৫২ জাতীয় ডেস্ক ।।
সাবেক ছাত্র নেতা নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক কারাবন্দী মাহমুদুর রহমান মান্নার সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার আবেদন জানিয়েছেন তার স্ত্রী মেহের নিগার।
আজ রোববার বেলা ১১টায় রাজধানীর গুলশানের বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ আবেদন জানান।
মান্নার স্ত্রীর ভাষ্য, পুলিশের তত্ত্বাবধানে তার স্বামীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই তড়িঘড়ি করে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ অবস্থায় তার শারীরিক অবস্থা নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন।
মেহের নিগার বলেন, মান্না দীর্ঘদিন ধরে নানা ধরনের শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। তার হার্টে চারটি ব্লক আছে। তাকে নিয়ন্ত্রিত চলাফেরা ও খাদ্যগ্রহণ করতে হয়। তার মেরুদণ্ডে ক্ষয়জনিত সমস্যা আছে। শরীরের এই অবস্থায় মান্নাকে রিমান্ডে নিয়ে মানসিক ও শারীরিক চাপ দেয়ায় তিনি আরও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগ তার স্ত্রীর।
সরকারের কাছে আবেদন জানিয়ে মেহের নিগার বলেন, মান্নার বিরুদ্ধে থাকা অভিযোগ প্রমাণসাপেক্ষে সুষ্ঠু বিচার হোক। তবে তার আগে তার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা হোক।
এদিকে,ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে লড়তে নাগরিক ঐক্যের প্রার্থী হতে তার দলের পক্ষ থেকে মান্নার নামে মনোনয়নপত্র কেনা হয়েছে। তবে র্নিধারিত সময়ে কাগজপত্র সংগ্রহ ও স্বাক্ষর করতে না পারায় সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন না নাগরিকর ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না।
এজন্য মান্নার শারীরিক সমস্যা ও প্রশাসনের অসহযোগিতাকে দায়ি করে আজ বিবৃতি দিয়েছে নাগরিক ঐক্য।
পুলিশের ভাষ্যমতে,গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাতে ধানমন্ডির স্টার কাবারের সামনে থেকে মান্নাকে আটক করে র্যাব। তবে মান্নার পরিবারের দাবি, এর এক দিন আগেই তাকে এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে তুলে নেয়া হয়।
পরে মান্নাকে গুলশান থানায় দায়ের করা সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের বিদ্রোহের উসকানি দেওয়ার মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ১০ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলাও রয়েছে। এ মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্যও তাকে রিমান্ডে নেয় পুলিশ। অসুস্থ হয়ে পড়লে ১০ মার্চ তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।