৫২ লইফ স্টাইল ডেস্ক ।।
বিশ্বের খ্যাতিমান ব্যবসা-সংশ্লিষ্ট পরামর্শ দাতা স্টিভ টোবাক। অন্টারপ্রিনিয়ার ডটকমে প্রকাশিত এক লেখায় তিনি জানাচ্ছেন ব্যবসা ক্ষেত্রে তার কয়েক বছরের অভিজ্ঞতা এবং সফল ব্যক্তিদের সফলতার কারণ। চলুন পাঠক, টোবাকের লেখা থেকে জেনে নিই কী করে সফল হওয়া যাবে ব্যবসাক্ষেত্রে।
টোবাক আমাদের জানাচ্ছেন, কঠোর পরিশ্রমের সঙ্গে দক্ষতা-প্রতিভা আর জ্ঞানের সমন্বয় করেই সফলতা পেয়েছেন উদ্যোক্তারা। সফলদের প্রত্যেকের মধ্যেই যে সাধারণ ঐক্যটি রয়েছে তা হচ্ছে তারা প্রত্যেকেই একটি নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে কাজ করেন, যে বিষয়টিতে তারা সবচাইতে ভাল। পন্যের মান উন্নয়ন, বাজারজাতকরণ, অর্থব্যবস্থা অথবা অন্য যেকোন একটি নির্দিষ্ট বিষয় যেটিতে তার সবচাইতে বেশি ভাল সেটি নিয়েই কাজ করেন। আপনি যদি সফল উদ্যোক্তাদের দিকে তাকান তাহলেও এ বিষয়টিই দেখতে পাবেন।
ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ একজন প্রোগ্রামার তেমন গুগলের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার ল্যারি পেজ ও এমনকি বিল গেটস ও এভাবেই সফল হয়েছেন। হোল ফুডের প্রতিষ্ঠাতা সিইও জন মার্কি সবসময়ই খাদ্যের ব্যবসাতেই রয়েছেন। কারন তিনি এটিতেই সবচাইতে ভাল।
টোবাক জানান, তিনি প্রকৌশলী হিসেবে পেশা শুরু করলেও পরে তা পরিবর্তন করে বাজারজাতকরণের কাজ শুরু করেন। তিনি এখন ব্যবসায়িক পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করলেও বিষয়টি মার্কেটিং সংশ্লিষ্ট এবং সেটিই তিনি সবচে ভাল পারেন। ‘অনেকে একটা কাজ শুরু করেন এবং সারা জীবন সেটিই করে যান কিন্তু সফল ব্যক্তিরা তাদের মধ্যকার ভাল দিকটি খুঁজে পান এবং এটিতেই কাজ করতে থাকেন। আমাদের পেশাজীবনের মোড় ঘোড়ানোর জন্য এটাই মূল বিষয়। আমার বেলায় যে বিষয়টি সত্যি হয়েছে এবং আমি যাদের সাথে কথা বলেছি তাদের মধ্যে যে বিষয়টি দেখতে পেয়েছি সেটি হচ্ছে অনেকেই শুরুর পর বুঝতে পেরেছেন এ বিষয়টিতে তারা সবচাইতে ভাল।’ লেখায় এমনটাই বলেন তিনি।
টোবাকের মতে, নিজের মধ্যকার সুপ্ত প্রতিভা খুঁজে পাওয়ার পর সফলরা বিষয়টিকে প্রতিষ্ঠার জন্য বেশ সময় ব্যয় করেন এবং কোথায় বিষয়টির সফল প্রতিফলন ঘটানো সম্ভব সেটা খুঁজে বেড়ান। তারা খুঁজে পাওয়ার আগ পর্যন্ত খুঁজতে থাকেন। তাদের প্রেরণা, দৃষ্টি, নিয়মানুবর্তিতা এবং নীতির প্রতি লক্ষ্য রেখেই তারা এ খোঁজ চালান।
আপনার খোঁজের সময় আপনার মধ্যে মধ্যে যদি উপরোক্ত গুন গুলো থেকে থাকে তবে আপনি যা খুঁজছেন তা অবশ্যই পাবেন হোক তা খুব তাড়াতাড়ি কিংবা দেরিতে। আর যদি গুন গুলো না থেকে থাকে তবে আপনি সফলতার চূড়ান্ত শিখরে পৌঁছাতে পারবেন না; অন্তত ব্যবসায়িক দৃষ্টিকোণ থেকে এ কথাটি বলা যেতেই পারে।
সফল হতে হবে এর মানে এই নয় যে আপনাকে সারাক্ষণই টাকার কথা চিন্তা করতে হবে বরং এরমানে হচ্ছে আপনাকে খুঁজে নিতে হবে আপনি কোন বিষয়টিতে সবচাইতে বেশি ভাল।
সর্বশেষ একটা কথা মনে রাখুন; সফল ব্যক্তিরা যদি নিজেদের সুপ্ত প্রতিভার খোঁজ জেনে তা নিয়ে কাজ না করতো, যদি সময়ের সঠিক ব্যবহার না করতো; তবে আজ হয়তো মাইক্রোসফট, অ্যাপল, গুগল কিংবা ফেসবুক প্রতিষ্ঠা হতো না।