৫২ জাতীয় ডেস্ক ।।
বাংলাদেশে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা চলাকালে পরীক্ষার্থীদের কোন সমস্যা হলে তার দায় বিএনপি জোটকেই নিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। আগামীকাল ১ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত এইচএসসি ও সমমানে তত্ত্বীয় বিষয়ের পরীক্ষা হবে। আর ব্যবহারিক পরীক্ষা হবে ১৩ জুন থেকে ২২ জুন।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে শিক্ষামন্ত্রী বলেন,“আমি হরতাল-অবরোধ ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনাকারী জোটের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি পরীক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণভাবে পরীক্ষা দিতে দিন। দয়া করে কোনো হটকারী ঘটনা ঘটাবেন না।
‘আমি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিতে চাই- দেশের যে কোনো স্থানে আমাদের একজন পরীক্ষার্থীরও যদি কোনো ক্ষতি হয়, তার দায়দায়িত্ব আপনাদেরকেই বহন করতে হবে। মানুষ আপনাদের ক্ষমা করবে না।”
মন্ত্রী আরো বলেন, ‘সংকটের মধ্যে এসএসসি পরীক্ষা শেষ হতে না হতেই এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। জাতির দুর্ভাগ্য যে, একটি রাজনৈতিক জোটের বিবেকবর্জিত অব্যাহত হরতাল-অবরোধের কারণে এসএসসির রুটিন অনুযায়ী একটি পরীক্ষাও নেয়া সম্ভব হয় নি।
‘পরীক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের দাবি, মতামত ও পরামর্শের প্রতি সম্মান দেখিয়ে আমরা যে কোনো পরিস্থিতিতে রুটিনমাফিক পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। এর কোনো ব্যত্যয় হবে না।’
পরীক্ষার্থীদের যাতায়াত নির্বিঘ্নে করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ‘সর্বাত্মক’ নজরদারি থাকবে বলেও আশ্বস্ত করেছেন শিক্ষামন্ত্রী।
এর আগে, গতকাল সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ ব্রিফিংয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ জানিয়েছেন এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে সরকার কোচিং সেন্টার ও ফেসবুকে নজরদারি করছে।
মন্ত্রী বলেছেন,এরইমধ্যে প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে প্রশ্নপত্র প্রণয়ণ, বিতরণ ও প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাসহ কোচিং সেন্টার ও ফেসবুকের ওপর নজরদারি চালানো হচ্ছে। গত কয়েক বছর একটি গ্রুপ ফেসবুকে গ্রুপ ও পেজ খুলে বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস করছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনা প্রতিরোধে সরকার এরইমধ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। জড়িত সন্দেহে বহুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং মামলাও দেয়া হয়েছে। তবু ফেসবুকের মাধ্যমে এরা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। এবারের এইচএসসি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস রোধের আগেভাগেই প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে সরকার।
মন্ত্রী আরো জানান, পরীক্ষার দিন পরীক্ষা কেন্দ্রের আশেপাশের সব ফটোকপি করার মেশিনের দোকান বন্ধ করে দেয়া হবে।
উল্লেখ্য, বুধবার ১ এপ্রিল থেকে দেশের ১০টি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১০ লাখ ৭৩ হাজার ৮৮৪ জন শিক্ষার্থী অংশ নেবে। এদের মধ্যে ৫ লাখ ৭০ হাজার ৯৯৩ জন ছাত্র ও ৫ লাখ ২ হাজার ৮৯১ জন ছাত্রী। গতবারের তুলনায় এবারের এইচএসসি ও সমমানে পরীক্ষার্থী কমেছে ৬৭ হাজার ৪৯০ জন।