৫২ টঙ্গী প্রতিনিধি
গত বৃহস্পতিবার প্রতারকচক্রের মূলহোতাসহ ৭ প্রতারককে টঙ্গী বাজার থেকে গ্রেফতার করে মামলা দায়ের শেষে গাজীপুর আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে প্রেরণ করেছে টঙ্গী থানা পুলিশ। প্রতারণার সাথে জড়িত ঘটনাস্থল থেকে আটক তমা আক্তার, ওমর ফারুক ও মিলন আকনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
তিন প্রতারককে ছেড়ে দেওয়ার ঘটনা জানাজানি হলে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার এঘটনায় টঙ্গী থানার এএসআই লালন ফকির বাদী হয়ে ৭ প্রতারকের বিরুদ্ধে টঙ্গী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। আসামীদের গত বুধবার টঙ্গী বাজার এলাকার আনারকলি রোডের সিকদার কমপ্লেক্সের ১৬ নম্বর কক্ষ থেকে মাদক বেচাকেনার সময় পুলিশ হাতেনাতে আটক করে।
এসময় তাদের কাছ থেকে ইয়াবা ট্যাবলেট, ডিবির পোশাক, ক্যামেরা ও মোবাইল সেট উদ্ধার করে।
আদালতে প্রেরণ করা প্রতারকচক্রের সদস্যরা হলেন-রাজশাহীর বাঘা থানার পাকুরিয়া গ্রামের নুরুজ্জামান মল্লিকের ছেলে রাকিবুল ইসলাম জীবন (৩৭), ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা থানার কবিরপুর গ্রামের আমীর মোহাম্মদের ছেলে রাশেদুল ইবনে আমির (৩৮), ঝিনাইদহ সদরের চাকলাপাড়া গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে এস.এম নিয়াজ মোর্শেদ প্রিন্স (২০), ব্রাক্ষণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার কাইতলা গ্রামের কাজী খলিলুর রহমানের ছেলে কাজী ইকরাম (৩০), চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ থানার কাঞ্চনপুর গ্রামের আব্দুল মতিনের ছেলে আলমগীর হোসেন (৩২), খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা থানার শুকনাছড়ি গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে বাদশা মিয়া (২৫), চাঁদপুরের মতলব (দ.) থানার মোশুরকান্দি গ্রামের সফিকুল ইসলামের ছেলে শরিফুল ইসলাম (২২)।
উল্লেখ্য, টঙ্গী ও আশপাশের এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে সংঘবদ্ধ প্রতারকচক্রটি বিভিন্ন পেশার মিথ্যা পরিচয় দিয়ে মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছিল। সম্প্রতি বিভিন্ন বাজে প্রকৃতির মেয়েদেরকে পাত্রী সাজিয়ে ম্যারিজ মিডিয়া খোলে। রংচটা বিজ্ঞাপন দিয়ে তাদের অফিসে ডেকে আগ্রহী পাত্রদেরকে মেয়ের সাথে কথা বলার সুযোগের নামে আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করে মোটা অংকের টাকা দাবি করে আসছিল এই চক্রটি।