৫২ অর্থনীতি ডেস্ক ।।
বিদেশি ঋণের টাকার নয়-ছয় যেন স্বাভাবিক এক প্রবণতা- ব্যাংক খাতে। এবার বেসরকারি ইস্টার্ন ব্যাংকের মাধ্যমে যা ঘটিয়েছে দেশের আরো দুই প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক তদন্তে ধরা পড়েছে এই ঘটনা।
অথচ বিস্ময়কর হলো-অনিয়মের সুযোগ করে দেয়ার পরও ব্যাংকটির বিরুদ্ধে কোনো আইনি ব্যবস্থা নেয়নি বাংলাদেশ ব্যাংক।
গাজীপুরে এনএজেড বাংলাদেশ লিমিটেডের ফ্যাক্টরি এটি। এ কোম্পানিটি সম্প্রসারেণর জন্য ইর্স্টান ব্যাংকের অফসো ইউনিটের মাধ্যমে ৫০ লাখ মার্কিন ডলার বিদেশি ঋণ নেওয়ার অনুমতি দেয় বিনিয়োগ বোর্ড।টাকার অংকে যা প্রায় ৩৯ কোটি টাকা। শর্ত ছিল ঋণের অর্থ শুধু মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানিতে খরচ করা যাবে। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শনে দেখা যায়,ঋণের ১১ লাখ ডলার সমমূল্যের প্রায় ১১ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে দেশীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে কেনা যন্ত্রাংশ ও সেবার দায় পরিশোধে।
গাজীপুরেই আরেকটি ফ্যাক্টরি মেসার্স ইপিলিয়ন স্টাইল লিমিটেড। এ প্রতিষ্ঠানও ইর্স্টান ব্যাংকের অফসোর ইউনিটের মাধ্যমে ৩৭ লাখ মার্কিন ডলার ঋণ পায় প্রতিষ্ঠানটি। এক্ষেত্রেও ঋণের শর্ত ছিল, এর মাধ্যমে পরিশোধ করা হবে বিদেশ থেকে মূলধনী যন্ত্রাংশ আমদানি খরচ। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শনে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি বিদেশ থেকে ক্যান্টিনের ফার্নিচার আমদানি করেই খরচ করেছে ঋণের ২ লাখ ২৮ হাজার টাকা। তবে ঋণের শর্ত ভঙ্গ করে অন্য দায় পরিশোধের কোন সুযোগ নেই বলে মনে করেন সিনিয়র এই ব্যাংকার। তার মতে ,কোন ব্যাংকই তার গ্রাহককে এ ধরণের অনিয়মে সহযোগিতা করতে পারে না।
ইর্স্টান ব্যাংকের অফসোর ইউনিটের অনিয়মের দায় স্বীকার করেন ইন্টার্ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও এসোসিয়েশন অব ব্যাংকার বাংলাদেশ-এবিবির বর্তমান সভাপতি।
অথচ বাংলাদেশ ব্যাংক এ অনিয়মের জন্য ইর্স্টান ব্যাংকের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থাই নেয়নি। সংস্থাটির মুখপাত্র জানান-বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে।তবে, বিলম্বের কারণ ব্যাখ্যা করতে পারেননি তিনি।