৫২ রাজনীতি ডেস্ক ।।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ফরিদপুর-৪ আসনের সাবেক এমপি কাজী জাফরউল্লাহর পথসভায় গুলির ঘটনা ঘটেছে। এসময় গুলিতে ভাঙ্গা থানার ওসিসহ ৭ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।
আহতদের পুলিশ ও স্থানীয় জনতা উদ্ধার করে ভাঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে সেখানে ৬ জনের অবস্থার অবনতি হলে তাদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
শনিবার সকাল ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল ইসলাম (৫২), কাউলিবেড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পরারম গ্রামের জাহের মাতুব্বরের ছেলে ফরহাদ মাতুব্বর (৫৫), আজিমনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও তারাইল গ্রামের হাজী ফরমান খানের ছেলে সোবাহান খান (৬৫), সদরপুর উপজেলার আওয়ামী লীগ নেতা ও চরের ঘাট গ্রামের মৃত আহম্মদ আকনের ছেলে ইমারত আকন (৫৬), আড়িয়াল খাঁ গ্রামের আলিমদ্দিনের ছেলে সাহেব আলী মেম্বার (৪৮), কাউলিবেড়া ইউপি মেম্বার ও খাকড়া গ্রামের মৃত শেখ ওসমান মিয়ার ছেলে শাজাহান মিয়া (৫০), পরারম গ্রামের দলিল উদ্দিনের ছেলে জমির মাতুব্বর (৬০)। আহতদের সবার পা ও বুকে জখম হয়েছে।
জানা গেছে, সকাল ৮টায় উপজেলার কাউলিবেড়া ইউনিয়নের মুন্সিবাড়ী কুমপাড়া ব্রিজ উদ্বোধন শেষে পথসভা করেন কাজী জাফরউল্লাহ্। এ উপলক্ষে শত শত নেতাকর্মী পথসভাস্থলে উপস্থিত হয়।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘পথসভায় ভাষণ শুরুর কয়েক মিনিট পরই মঞ্চের একপ্রান্ত থেকে অর্তকিত গুলির শব্দ শোনা যায়। এসময় সেখানে অবস্থান করা ভাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি দীপক মজুমদারের ব্যবহৃত শর্টগান থেকে গুলিবর্ষণ হয়। এতে উপস্থিত নেতা-কর্মীরা হুড়োহুড়ি শুরু করে। পরে পুলিশ ও স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে।
তিনি জানান, শর্টগানটি জব্দ করা হয়েছে এবং এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ইমরান হোসেন জানান, শর্টগানের ছড়রা গুলির স্প্রিন্টারে আহতদের শরীরে ক্ষত হয়েছে।