৫২ আন্তর্জাতিক ডেস্ক।।
নেপালে সংবিধান সংশোধন নিয়ে দেশটির পার্লামেন্টে মারামারি ও ধস্তাধস্তিতে তুলকালাম ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বুধবার পর্যন্ত অধিবেশন স্থগিত করা হয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, মাওবাদীবিরোধী জোটের সংসদ সদস্যরা এ সময় চেয়ার ও মাইক্রোফোন ছুড়ে মারে এবং পার্লামেন্টের স্পিকারের ওপর হামলা চালায়। এমন পরিস্থিতিতে পার্লামেন্টের অধিবেশন বুধবার পর্যন্ত স্থগিত করা হয়।
বিরোধী দলের অভিযোগ, ক্ষমতাসীন জোট ঐকমত্য ছাড়াই খসড়া সংবিধান পাস করতে যাচ্ছে। আগামী ২২ জানুয়ারি খসড়া সংবিধান পাসের শেষ তারিখ।
প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে নেপাল রাজতন্ত্র থেকে গণতন্ত্রে উন্নীত হয়। এরপর থেকেই দেশটির রাজনৈতিক দলগুলো একটি নতুন সংবিধান প্রণয়নের চেষ্টা করছেন। কিন্তু এখনো তা সম্ভব হয়নি। এর আগেও সংবিধান প্রণয়নের কয়েক দফা সময় নির্ধারণ করেও তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয় নি।
সর্বশেষ সময়সীমা শেষ হলেও সর্বসম্মতিক্রমে একটি সংবিধান প্রণয়ন এখনো সম্ভব হয় নি। মাওবাদীদের অভিযোগ, পার্লামেন্টে ক্ষমতাসীন জোটের দুই-তৃতীয়াংশ সংসদ সদস্য থাকায় কোনো ঐকমত্য ছাড়াই খসড়া সংবিধান পাস করতে যাচ্ছে সরকার। এর প্রতিবাদে দলটি মঙ্গলবার সারাদেশে ধর্মঘটের ডাক দেয়।
সকালে ধর্মঘটের সমর্থনে রাজধানী কাঠমান্ডুসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ৫০ জনকে আটক করা হয়। ধর্মঘটের কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ কারখানা ও ব্যবসাকেন্দ্র সবই বন্ধ ছিল।
এদিকে, ধর্মঘটের মধ্যেই শুরু হয় পার্লামেন্ট অধিবেশন। এ সময় বিরোধী জোটের সংসদ সদস্যরা হট্টগোল করতে থাকলে শুরু হয় হাতাহাতি। এ অবস্থায় স্পিকার অধিবেশন স্থগিতের ঘোষণা দেন।
তথ্যসূত্র : বিবিসি, এনডিটিভি, বাসস