৫২ রাজনীতি ডেস্ক ।।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ বলেছেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সেনা মোতায়েন নিয়ে ইসি জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করছে। সেনা মোতায়েনের নামে নির্বাচন কমিশন ভেলকিবাজি করছে।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর শাহজানপুরে বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাসের বাসায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি নির্বাচনের সার্বিক বিষয় জানাতে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ অভিযোগ করেন তিনি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দিন আহমদের বক্তব্যের সমালোচনা করে হান্নান শাহ বলেন, “ক্যান্টনমেন্ট সিটি করপোরেশনের আওতাভুক্ত নয়। নির্বাচনে সেনাবাহিনীকে যদি দায়িত্ব পালন করতে হয় তাহলে তাদের ক্যান্টনমেন্টের বাইরে আনতে হবে। সেনাবাহিনীকে ক্যান্টনমেন্টে রাখার সিদ্ধান্ত নেহায়েত ইসির ভেলকিবাজি।”
বিএনপির সিনিয়র এই নেতা বলেন, “সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত ইসির ঘোষণার পর সরকারদলীয় নেতাকর্মীদের মুখের হাসি চলে গিয়েছিল। কিন্তু এখন ইসি তার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসায় তাদের মুখে আবার হাসি ফুটেছে।”
সরকারের অভিলাষ পূরণে নীলনকশা তৈরি করা হচ্ছে অভিযোগ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ বলেছেন, “সরকারের যে আচার-আচরণ দেখছি, তাতে শতকরা ৯৯ ভাগ ভোট কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ। সরকারদলীয় প্রার্থীদের পাশে যে সব লোকজন ঘোরাফেরা করে তাদের কোমরে অস্ত্র গোঁজা থাকে। তারা সন্ত্রাসের মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিতে চায়। কিন্তু সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে আমরা চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করেছি। ভোটাররা যদি সুষ্ঠু পরিবেশে ভোট দিতে পারেন তাহলে আমাদের প্রার্থীরা বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হবেন।”
অপরদিকে শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দল আয়োজিত এক মানববন্ধনে বিএনপির অপর স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জে. মাহবুবুর রহমান বলেছেন, “মানুষ দৃশ্যমান সেনা মোতায়েন দেখতে চায়। সেনা মোতায়েন নিয়ে দেশে অনেক ষড়যন্ত্র চলছে। আমরা আইওয়াশের সেনা দেখতে চাই না, বাংলাদেশের সংকট গণতন্ত্র এবং আইনশঙ্খলার সংকট এই সংকটকে সেনাবাহিনী দৃশ্যমান থেকে মোকাবেলা করতে হবে।”
খালেদা জিয়ার গাড়ী বহরে হামলা কারীদের গ্রেফতার এবং মির্জা ফখরুল সহ-সকল রাজবন্দীদের মুক্তির দাবিতে অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধনে মাহবুবুর রহমান বলেন, “জনগণ যখন জেগে উঠেছে যারা ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে ভোট দিতে পারে নি তারা এই নির্বাচনে প্রতিশোধ নিতে চায়। কিন্তু সরকার সেটা বুঝতে পেরে আগের অবস্থা সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। এমতাবস্থায় নির্বাচন কমিশনারদেরকেও বুঝতে হবে এটা তাদের নষ্ট হয়ে যাওয়া ভাবমুর্তি ফিরে পাবার বিরাট সুযোগ।”
বেগম খালেদা জিয়াকে টার্গেট করে গুলি করা হচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “খালেদা জিয়া যেখানেই প্রচার করতে বের হচ্ছেন তার উপর অতর্কিত হামলা করা হচ্ছে এমনকি তাকে মেরে ফেলার জন্য গুলি করা হচ্ছে। জনগন জানে এই ঘটনা গুলো কারা ঘটাচ্ছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশনার জানার পরও কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না। সকল কিছুর জন্য দায়ী এই কমিশন।”
মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির চেয়াপারসনের উপদেষ্টা ব্যারিষ্টার হায়দার আলী,আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম,কৃষদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শাজাহান মিয়া সম্রাট।