বৈরুতে ইসরাইলি বিমান হামলায় ইরান-সমর্থিত সশস্র গ্রুপ হিজবুল্লাহর সবচেয়ে সিনিয়র সামরিক কমান্ডার এবং স্ট্র্যাটেজিক ইউনিটের প্রধান ফুয়াদ শুকর ‘সৈয়দ মুহসিন’ নিহত হয়েছেন।
ইসরাইল সুস্পষ্টভাবে এই দাবি করেছে। মঙ্গলবার রাতে এই হামলা চালানো হয়। হিজবুল্লাহ এখনো তার নিহত হওয়ার কথা স্বীকার করেনি।
ইসরাইল দাবি করেছে, কয়েক দিন আগে গোলান মালভূমির মাজদাল শ্যামসে হামলার জন্য শুকর দায়ী। ওই হামলায় ১২ জন ইসরাইলি দ্রুজ শিশু ও কিশোর নিহত হয়।
হিজবুল্লাহর এই কমান্ডারের জন্য ৫০ লাখ ডলার পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল।
ইসরাইলি হামলায় দক্ষিণ বৈরুতের একটি আটতলা অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের এক পাশে বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়। এতে শুকরসহ তিনজন নিহত হয় বলে ইসরাইল দাবি করে। আহত হয় অন্তত ৭৪ জন।তবে হিজবুল্লাহ জানায়, শুকর ওই হামলা থেকে রক্ষা পেয়েছেন।
উল্লেখ্য, গ্রুপটি গোলান মালভূমির ওই হামলা চালানোর কথা অস্বীকার করে আসছে।
ইসরাইলি মিডিয়ার খবরে বলা হয়, শুকর ছিলেন হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহর সামরিক উপদেষ্টা। তিনি ৩০ বছর ধরে সশস্ত্র আন্দোলনে জড়িত ছিলেন। তিনি গ্রুপটির অপারেশন্স রুপের প্রধান ছিলেন। তিনি হাজি মোহসেন এবং মুহসিন শুকর নামেও পরিচিত ছিলেন।
এতে আরো বলা হয়, হিজবুল্লাহর বেশিভাগ অত্যাধুনিক অস্ত্রভাণ্ডারের দায়িত্বেও ছিলেন তিনি। বিশেষ করে প্রিসাইজ-গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র, ক্রুইজ ক্ষেপণাস্ত্র, জাহাজ-বিধ্বংস ক্ষেপণাস্ত্র, দূর-পাল্লার রকেট, ড্রোন ইত্যাদি তার নিয়ন্ত্রণে ছিল।
ইসরাইলের বিরুদ্ধে হিজবুল্লাহ বাহিনী পরিচালনা করার দায়িত্বও তার ছিল।
গত ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরাইলি চলতি হামলা শুরুর পর থেকেই ইসরাইল-হিজবুল্লাহ হামলা, পাল্টা হামলা চলছে। হামাসের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেছে হিজবুল্লাহ।
সূত্র : জেরুসালেম পোস্ট, টাইমস অব ইসরাইল ও আল জাজিরা