**কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে প্রভাব বিস্তারের লড়াইয়ে বিএনপির দু’দলের সংঘর্ষে আহত ১০**
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় দু’দল বিএনপি কর্মীর মধ্যে প্রভাব বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ৩ জনকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি সোমবার সকালে উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের দৌলতখালী গ্রামে ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলার পর জানা গেছে যে, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে দৌলতখালী গ্রামের প্রভাব বিস্তার নিয়ে দৌলতপুর ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব জাহিদ হোসেন এবং বিএনপি নেতা জিন্নাত আলী ওরফে জিন্নাহর মধ্যে বিরোধ চলছিল। এই বিরোধের ফলে আজ সকাল ৮টার দিকে দৌলতখালী গ্রামের শওকত মোড়ে এই দু’জনের সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের সময় তারা ইটপাটকেল ছোড়াছুড়ি এবং একে অপরকে তাড়া করতে শুরু করে।
এই সংঘর্ষে কাওছার আলী, কামরুল, জিন্নাহ এবং জাহিদ হোসেনসহ দুই পক্ষেরই অন্তত ৭ জন আহত হয়। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে, দৌলতখালী গোডাউনবাজারে নিজের চেম্বারে বসে থাকা পল্লী চিকিৎসক মন্টুকে (৫২) জাহিদ হোসেনের লোকজন আক্রমণ করে। এ সময় তারা তাকে ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করে গুরুতর জখম করে।
হামলার ঘটনার পর, সকাল ১০টার দিকে, দৌলতখালী গোডাউনবাজার এলাকার আজমত আলী সরদার (৫৫) এবং তার ছেলে সাগর হোসেন (২৫) মোটরসাইকেল নিয়ে দৌলতখালী সরদারপাড়ায় যাচ্ছিলেন। মাদ্রাসা মোড়ে পৌঁছানোর পর জিন্নাত আলীর লোকজন তাদের আক্রমণ করে। হামলাকারীরা এই দুজনকে ধারালো অস্ত্রে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে এবং তাদের মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।
পল্লী চিকিৎসক মন্টুসহ গুরুতর আহত আজমত এবং সাগরকে উদ্ধার করে প্রথমে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। তাদের অবস্থার অবনতি হওয়ায়, চিকিৎসকরা তাদের কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।
সংঘর্ষের পর থেকে দৌলতখালী গ্রামে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এলাকাবাসী যেকোনো সময় আরও বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন। দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান বলেছেন, প্রভাব বিস্তার নিয়ে দৌলতখালী গ্রামে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে।