**মমতাজের অপ্রত্যাশিত প্রত্যাবর্তন, “আমার হাত বান্ধিবি, পা বান্ধিবি…” গেয়ে শোরগোল**
সংগীতশিল্পী ও সাবেক সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের সঙ্গে গত কয়েক মাস ধরে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল। তবে সূত্রের খবর, তিনি দেশেই অবস্থান করছেন। গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র আন্দোলনের পর থেকে আওয়ামী লীগের এই সাবেক সংসদ সদস্যকে আর প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তিনি সক্রিয় ছিলেন না।
গতকাল রাতে হঠাৎই তিনি জনগণের সামনে এসেছেন একটি গান নিয়ে। ৪ মিনিট ৩০ সেকেন্ডের সেই গান মমতাজ তার ফেসবুক পেজে পোস্ট করেছেন।
১৬ জুলাইয়ের পর থেকে মমতাজকে তার ফেসবুক পেজে সক্রিয় দেখা যায়নি। এর আগে প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো কিছু পোস্ট করতেন এই জনপ্রিয় গায়িকা। ৮৮ দিন পর ফেসবুকে গানের ভিডিও নিয়ে হাজির হওয়া মমতাজকে দেখে অবাক হয়েছেন অনেকে। ফেসবুকে সবাই নিজেদের মতো করে মন্তব্যও করেছেন।
তিন মাস পর মমতাজকে ফেসবুকে দেখে কেউ কেউ জানতে চেয়েছেন, তিনি কোথায় আছেন? দেশেই আত্মগোপনে আছেন নাকি বিদেশে চলে গেছেন? আবার কেউ কেউ আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে তার সম্পর্ক তুলে ধরে মন্তব্য করেছেন। তবে অনুরাগীদের অনেকেই রাজনৈতিক পরিচয় বাদ দিয়ে সংগীতশিল্পী মমতাজকে আবারও গানের জগতে ফিরে পেতে চেয়েছেন।
৪ মিনিট ৩০ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে মমতাজকে ‘আমার হাত বান্ধিবি, পা বান্ধিবি, মন বান্ধিবি কেমনে? আমার চোখ বান্ধিবি, মুখ বান্ধিবি পরাণ বান্ধিবি কেমনে?’ গানটি গাইতে দেখা যায়। ভিডিওটি প্রকাশ হওয়ার পর মন্তব্যের ঘরে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন নেটিজেনরা। ২৪ ঘণ্টাও না পেরিয়ে এর ভিউ মিলিয়নের কাছাকাছি গিয়ে দাঁড়িয়েছে। ভিডিওতে ৪০ হাজারেরও বেশি রিঅ্যাকশন এসেছে, মন্তব্য প্রায় ৮ হাজার এবং ভিডিওটি ১ হাজারের বেশি শেয়ার করা হয়েছে।
মমতাজ প্রায় দেড় দশক আগে রাজনীতিতে সক্রিয় হন। ২০০৯ সালে নবম জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মনোনীত হন। ২০১৪ সালে মানিকগঞ্জ-২ আসনে নির্বাচিত হয়ে তিনি সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০২৪ সালেও তিনি আওয়ামী লীগের হয়ে নৌকা প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেন।
মানিকগঞ্জ-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলুর কাছে হাড়হাড়ি লড়াই করে পরাজিত হন তিনবারের সংসদ সদস্য মমতাজ। মমতাজ বেগমকে হারিয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হন দেওয়ান জাহিদ আহমেদ। নির্বাচনে ৮৮ হাজার ৩০৯ ভোট পেয়েছিলেন জাহিদ আহমেদ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী মমতাজ বেগম পেয়েছিলেন ৮২ হাজার ১৩৮ ভোট। সংসদ নির্বাচনে পরাজয়ের পর উপজেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে তাকে খুব একটা সক্রিয় দেখা যায়নি। তবে গানে বেশ ব্যস্ত ছিলেন মমতাজ।