ভারতের মুম্বাই শহরে রাজনীতিবিদ বাবা সিদ্দিকের সঙ্গে তার ছেলে, বিধায়ক জিসান সিদ্দিককেও হত্যা করার পরিকল্পনা ছিল। তবে বন্দুকধারীরা কেবল বাবা সিদ্দিককেই হত্যা করতে পেরেছে। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বলে সন্দেহ করা ব্যক্তিরা জিজ্ঞাসাবাদে এই তথ্য প্রদান করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা পুলিশকে জানিয়েছে, তাদের বলা হয়েছিল যে, মুম্বাইয়ের বান্দ্রা এলাকায় সংঘটিত হওয়া ঘটনার সময় বাবা সিদ্দিক ও জিসান সিদ্দিক উভয়েই উপস্থিত থাকবেন। তবে যদি দুজনকে একসঙ্গে হত্যা করার সুযোগ না পাওয়া যায়, তাহলে তাদের যে কাউকে আগে পাওয়া যাবে তাকেই হত্যা করতে হবে।
বাবা সিদ্দিককে গুলি করার পরেই পুলিশের দিকে মরিচের গুঁড়া ছুঁড়ে ফেলে বন্দুকধারীরা। শনিবার রাতে বান্দ্রা এলাকায় জিসান সিদ্দিকের অফিসের বাইরে রাজনীতিবিদ বাবা সিদ্দিককে গুলি করে হত্যা করা হয়। এই হত্যাকাণ্ডে তিনজন বন্দুকধারী জড়িত ছিল। তাদের মধ্যে দুজন, গুরমাইল বালজিৎ সিং ও ধর্মরাজ কাশ্যপকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য একজন, শিব কুমার গৌতম এখনও পলাতক। তাকে গ্রেপ্তার করার চেষ্টা চলছে।
বাবা সিদ্দিক হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে ভারতের কুখ্যাত লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সঙ্গে যুক্ত একজন ব্যক্তি। পুলিশ বলছে, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরাও জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে যে তারা এই গ্যাংয়ের সঙ্গে যুক্ত। প্রমাণের ভিত্তিতে পুলিশ এ হত্যাকাণ্ডের পেছনে লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের জড়িত থাকার কথা বলছে।
বাবা সিদ্দিক হত্যাকাণ্ডের পর বিষ্ণোই গ্যাংয়ের হুমকির কারণে সালমান খানকে সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন যে, হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত তিনজন ব্যক্তি প্রতিদিন মুম্বাইয়ের কুরলা এলাকা থেকে বান্দ্রায় আসত। হত্যাকাণ্ডের আগে তারা কুরলায় একটি ভাড়াবাড়িতে অবস্থান করেছিল। সেখান থেকে তারা বান্দ্রায় যাওয়ার জন্য বেশির ভাগ সময় অটোরিকশা ব্যবহার করত। এ ছাড়া বাবা সিদ্দিক ও তার ছেলের যেসব এলাকায় যাতায়াত রয়েছে, সেসব এলাকায় তারা নিয়মিত নজরদারি করত।