দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৩টার মধ্যে নবাবগঞ্জ থানার বিভিন্ন এলাকা থেকে তিনজনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এই তিনজনের মধ্যে দুজনের পরিচয় পাওয়া গেলেও একজন তরুণের শনাক্ত করা যায়নি।
এলাকাবাসী এবং পুলিশ সূত্র জানিয়েছে যে, উপজেলার সিংহরা গ্রামের বৃদ্ধ আব্দুল হামিদ (৮০) হারপিক পান করে আত্মহত্যা করেছেন। দুপুর ১২টার দিকে পুলিশ খবর পেয়ে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করে। পরিবারের সদস্যরা কোনো সন্দেহ না থাকায় তাঁকে দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
দ্বিতীয় মৃতদেহটি হলো সামিয়া আক্তার (১৭)। তাঁর মৃতদেহটি উপজেলার বান্দুরা ইউনিয়নের সাদাপুর ভাড়া বাসা থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় আজ দুপুর ১টার দিকে উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি তাঁর স্বামীর সঙ্গে সেখানে থাকতেন। সামিয়াকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে তাঁর শ্বশুর থানায় খবর দেন। পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
গৃহবধূ সামিয়ার বাবা শাহাদাত আলী বলেছেন যে, তাঁদের আপাতত কোনো অভিযোগ নেই। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর ঘটনা নিশ্চিত হলে তাঁরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন।
তৃতীয় মৃতদেহটি হলো এক তরুণের (৩০)। তাঁর মৃতদেহটি অর্ধগলিত অবস্থায় উপজেলার টিকরপুর বিলের ধানক্ষেত থেকে আজ বিকেল ৩টার দিকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তাঁর পরিচয় এখনও জানা যায়নি। তাঁর পরনে জিন্সের প্যান্ট ও শার্ট পরা ছিল।
স্থানীয় লোকজনের ধারণা, তাঁকে কেউ হত্যা করে হয়তো লাশটি সেখানে ফেলে গেছেন। দু’দিন আগেও ওই বিলে কয়েকজন কৃষক কাজ করতে এসেছিলেন। সেই সময় তাঁরা সেখানে অন্য কিছু দেখতে পাননি।
নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মমিনুল ইসলাম বলেছেন, বিকেল দুটোর দিকে খবর পেয়ে তাঁরা ওই তরুণের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে হত্যার পর কেউ লাশটি সেখানে ফেলে গেছে। তাঁর শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এই ঘটনায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এ ছাড়া আব্দুল হামিদ এবং গৃহবধূ সামিয়া আক্তারের মৃত্যুর ঘটনায় আজ বিকেলে নবাবগঞ্জ থানায় পৃথক দুটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে।