বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদের নিখোঁজ রহস্য এবং ভারতে সন্ধান পাওয়ার পর পুলিশের হাতে আটকের সার্বিক বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, সালাহ উদ্দিন আহমেদকে কীভাবে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, কীভাবে তিনি শিলংয়ে পৌঁছেছেন, কোথায় তাকে ফেলে রাখা হয়েছিল এ বিষয়গুলো বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে জাতির সামনে তুলে ধরা জরুরি। কারণ তার মতো একজন পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদকে কীভাবে শিলংয়ে ফেলে রাখা হয়েছে, তা মানুষ জানতে চায়। সরকার সেটা না করে যে খেলা খেলছে তা অবাস্তব ও অকল্পনীয়। আর তার কিছু হলে সরকার দায়ী থাকবে।
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা চার্জশিট প্রত্যাহার এবং জাতীয় নেতৃবৃন্দের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে স্বাধীনতা ফোরাম আয়োজিত প্রতিবাদী যুব সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
এমাজউদ্দিন আহমেদ বলেন, সরকারদলীয় অনেক মন্ত্রী বলছেন, সালাহ উদ্দিন আহমদ নাকি নিজেই পালিয়েছেন। এগুলো কোনো কথা নয়। এগুলো হলো কু-কথা। তিনি কেন লুকিয়ে থাকবেন? কী হয়েছে তার?
সরকার দেশে গণতন্ত্র হরণ করে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা চালুর ষড়যন্ত্র লিপ্ত উল্লেখ করে এমাজউদ্দিন আহমেদ বলেন, কতিপয় বুদ্ধিমান বলছেন, গণতন্ত্রের আগে উন্নয়ন দরকার। আমি এ সকল আধা শিক্ষিত ব্যক্তির উদ্দেশে বলছি, জাতীয় অগ্রগতির জন্যই গণতন্ত্র অপরিহার্য। কারণ গণতন্ত্র ছাড়া কোনো সভ্য জাতি এগিয়ে যেতে পারে না।
এ সময়, রাজনীতিতে স্থিতিশীলতার স্বর্থে খালেদা জিয়াসহ বিএনপি নেতা-কর্মীদের সকল মামলা প্রত্যাহারে দাবি করেন তিনি।