জাতীয়
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “আমাদের লক্ষ্য আগামীতে আমাদের হাতে যে সময় আছে, ওই তিন বছর আট মাসের মধ্যে এই বাংলাদেশকে আমরা আরো প্রায় ১০ ভাগ দারিদ্র্যের হার কমিয়ে বাংলাদেশকে দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ হিসেবে ইনশা’আল্লাহ আমরা গড়ে তুলব।”
শনিবার বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ মাঠে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় এ কথা বলেন তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, “আমরা জনগণের জন্য কাজ করি, তাদের জন্যই আমাদের সকল পদক্ষেপ। ছিটমহলবাসী এখন নাগরিকত্ব পেয়ে সুন্দরভাবে বাস করবে। আমরা চাই বাংলাদেশের মানুষ নাগরিক সুবিধা পাক।”
তিনি বলেন, “ছিটমহলবাসীর আর কোনো কষ্ট থাকবে না। তাদের উন্নয়নের জন্য রাস্তাঘাট, স্কুল ও বিদ্যুৎসহ যা প্রয়োজন সব ব্যবস্থা করা হবে।”
সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আওয়ামী লীগ উন্নয়নের রাজনীতি করে আর বিএনপি-জামায়াত ধ্বংসের রাজনীতি করে। তারা ক্ষমতায় আসলে দেশের ক্ষতি হয়। তারা ক্ষমতায় এসে বাংলা ভাই, জঙ্গিবাদ তৈরি করে। ২০১৩ সালে তারা এ এলাকায় যে তাণ্ডব চালিয়েছিল তা মানুষ ভোলে নাই। কানসাটে বিদ্যুতের দাবিতে আন্দোলন হয়েছে, তারা বিদ্যুৎ দিতে পারে নাই। কিন্ত খালেদার নির্দেশে ১৮ জনকে গুলি করে হত্যা করেছে।”
বিএনপি জামায়াতের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, “সরকার যখন দেশের উন্নয়নে ব্যস্ত, তখন বিএনপি আগুন দিয়ে ৯০ জনের ওপরে মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে। এই মানুষ হত্যাকারীদের আপনারা আর ভোট দেবেন না।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দেশের ছেলে-মেয়েরা লেখাপড়া করুক, তা বিএনপি-জামায়াত চায় না। তারা এসএসসি পরীক্ষা শুরুর দিনেই হরতাল দিয়েছে। আমি ছাত্র-ছাত্রীদের বলব তোমরা মন দিয়ে লেখাপড়া কর, এর থেকে বড় সম্পদ আর নেই।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি। আওয়ামী লীগ প্রযুক্তি শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে। আমার প্রত্যেক স্কুলে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম করছি। পর্যায়ক্রমে দেশের সব স্কুলে তা করা হবে।”
এর আগে, দুপুর ১২টা ২৭ মিনিটে হেলিকপ্টারে করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ মেজবাউল হক স্টেডিয়ামে অবতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর মহানন্দা নদীর ওপর ৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত শেখ হাসিনা সেতু উদ্বোধন করেন তিনি।