জাতীয়
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনকে ‘অপদার্থ ও অযোগ্য’ বলে আখ্যা দিয়ে আদর্শ ঢাকা আন্দোলনের আহবায়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. এমাজউদ্দীন আহমেদ বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের যাবতীয় কৃতকর্মের রেকর্ড আছে তা যথাসময়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পৌছে দেয়া হবে।
শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে অলকমিউনিটি ফোরাম আয়োজিত ‘সিটি করপোরেশন নির্বাচন ও বাংলাদেশের গণতন্ত্র’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন। নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে এমাজউদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘আমি গালি দেই না। তবে এটা না বললেই নয়, নির্বাচন কমিশন তাদের অর্পিত দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। এদের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হবে-এমনটা আশা করা যায় না। এরা অপদার্থ ও অযোগ্য।’
এমাজউদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কোনো ধরনের নিয়ম কানুন ছিল না। এখানে রিগিং বলতে যা হওয়ার তাই হয়েছে। সরকার ফলাফল নিজ দল সমর্থিত প্রার্থীদের পক্ষে নিতে নগ্ন হস্থক্ষেপ করেছে। যা তারা না করলেও পারতো। নির্বাচনে কারচুপি করা ক্ষমতাসীনদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। তাই নির্বাচন কমিশনকে সিটি নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সেনা মোতায়েন করতে দেয়নি।’
তিনি বলেন, ‘স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সরকারের পতন হয় না। সরকারের উচিত ছিল এই নির্বাচনকে স্বচ্ছ করা। কিন্তু তাদের অভ্যাস হয়ে গেছে কারচুপি অনিয়ম করার। নির্বাচন কমিশন তাদের অর্পিত দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। এদের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হবে এমনটা আশা করা যায় না।’
এমাজউদ্দীন বলেন, ‘সিটি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচন কমিশনকে দুটি বিষয়ে বিশেষভাবে অনুরোধ করেছিলাম। যার একটি হচ্ছে ভোটাররা যাতে করে নিরাপদে ভোট কেন্দ্রে ভোট দিতে যেতে পারে। অপরটি হচ্ছে প্রার্থীরা যাতে করে নির্বাচনী প্রচারণায় সমান সুযোগ পায়। কিন্তু নির্বাচন কমিশন একটি অনুরোধও রাখেনি। স্পষ্ট করে বলছি নির্বাচন কমিশনের যাবতীয় কৃতকর্মের রেকর্ড আছে তা যথাসময়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পৌছে দেয়া হবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এই ভিসি বলেন, ‘এই নির্বাচন কমিশন সেনাবাহিনী নিয়েও প্রশ্ন করা সুযোগ করে দিয়েছেন। শান্তি রক্ষায় যারা কাজ করেন আগামীতে তাদের প্রশ্নের সম্মুখীন হওয়া লাগতে পারে। যে নিজের দেশের শান্তি রক্ষা করতে পারেন না তারা অন্য দেশেরটা কিভাবে করবেন।’
সংগঠনের উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুলের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান, বিএনপির সহ তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব প্রমুখ।