প্রায় আড়াই মাস পর বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন তার স্ত্রী ও সাবেক এমপি হাসিনা আহমেদ। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন ছোট বোনের স্বামী মাহবুবুল কবির ও বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি।
সোমবার রাত সোয়া ৮টার দিকে শিলংয়ের সিভিল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন স্বামীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। অসুস্থ সালাউদ্দিন স্ত্রীকে দেখেই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। আড়াই মাস পর স্বামীকে পেয়ে হাসিনা আহমেদও কান্নায় ভেঙে পড়েন। এসময় সালাউদ্দিন দ্রুত চিকিৎসার জন্য ব্যবস্থা করতে স্ত্রীকে পরামর্শ দেন। স্বামীর সঙ্গে ১০ মিনিট কথা বলার পর তিনি হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে আসেন।
হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে হাসিনা আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, এদেশের কর্তৃপক্ষ সালাহ উদ্দিন আহমেদের প্রতি যে ব্যবহার করছে আমরা তার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই। সালাহউদ্দিন আহমেদের শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ। তার আরও উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন। তৃতীয় কোনো দেশে চিকিৎসার জন্য তিনি আইনজীবীদের সাথে কথা বলবেন বলে জানান।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা আইনি লড়াই চালাব। মঙ্গলবার আবারও স্বামীকে দেখতে আসবেন বলে জানান তিনি।
এর আগে স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে সোমবার দুপুরে শিলংয়ে পৌঁছেন সালাহ উদ্দিন আহমদের স্ত্রী হাসিনা আহমেদ। রোববার বিকেলে ভারতের ভিসা হাতে পেয়ে রাতেই কোলকাতার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন সালাহ উদ্দিনের স্ত্রী হাসিনা আহমেদ। রাতে তিনি সেখানেই অবস্থান করেন। আজ স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ১০ মিনিটে তিনি বিমানে গৌহাটি যান। সেখান থেকে সড়কপথে শিলংয়ে পৌঁছান।
গত ১১ মে শিলংয়ের গলফ লিংক এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় বাংলাদেশে ৬৩ দিন ধরে নিখোঁজ থাকা বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিনকে। অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের অভিযোগে ফরেনার্স অ্যাক্টে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এখন তিনি শিলং সিভিল হাসপাতালে কারাবন্দিদের জন্য নির্ধারিত সেলে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সেখানে কিডনি, লিভার ও হৃদযন্ত্রের সমস্যার চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি।
গত ১০ মার্চ থেকে ‘নিখোঁজ ছিলেন’ বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ। তাঁকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে তাঁর পরিবার ও দলটির পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে। তবে সালাহ উদ্দিন আহমেদকে আটক করা হয়নি বলে দাবি করে আসছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।