৫২ জাতীয় ডেস্ক ।।
ডাকাতিতে সম্পৃক্ততার অভিযোগে গ্রেপ্তার সোহাগ পরিবহণ চালক ও সহকারীর মুক্তির দাবিতে অনড় পরিবহণ মালিক-শ্রমিকরা। অবিলম্বে মুক্তি দেয়া না হলে দক্ষিণাঞ্চলে ডাকা অনির্দিষ্টকালের পরিবহণ ধর্মঘট সারাদেশে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়েছেন তারা।
শনিবার দুপুরে যশোর বাস মালিক সমিতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে খুলনা বিভাগীয় মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহবায়ক আলী আকবার বলেন, আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে আটক শ্রমিকদের মুক্তি ও দোষী পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে সারা বাংলাদেশে পরিবহণ ধর্মঘট শুরু করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক সাদেক হোসেন ও খুলনা বিভাগীয় মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক আজিজুল আলম মিন্টু উপস্থিত ছিলেন।
ফরিদপুরের মধুখালীতে বেনাপোলগামী সোহাগ পরিবহণের একটি নৈশকোচে সোমবার রাতে ডাকাতির পর যাত্রীদের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাসটির চালক ও তার এক সহকারীকে আটক করে। পরে ডাকাতির মামলায় দুজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তবে ডাকাতির পর চালক বাস নিয়ে মধুখালী থানায় জিডি করতে গেলে পুলিশ তাদের আটক করে কারাগারে পাঠায় বলে দাবি করেন পরিবহণ মালিক ও শ্রমিকরা।
এ ঘটনার পর বুধবার থেকে আটক দুই পরিবহণ শ্রমিকের নিঃশর্ত মুক্তি এবং ফরিদপুরের পুলিশ সুপার ও মধুখালীর ওসিকে প্রত্যাহারের দাবিতে খুলনা, যশোর, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, সাতক্ষীরা, নড়াইল ও ফরিদপুর থেকে ঢাকাসহ দক্ষিণাঞ্চলের অভ্যন্তরীণ ১৮টি রুটে বুধবার থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু করেন পরিবহণ শ্রমিকরা।
শুক্রবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার জামিল হাসান জানান, ডাকাতি হওয়া বাসের ২২ জন যাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওই বাসের চালক ও সহকারিকে গ্রেফতার করেছে। এখন অবৈধ স্বার্থ আদায়ে পরিবহণ শ্রমিকরা যাত্রীদের জিম্মি করেছে।
এদিকে, ধর্মঘটের চতুর্থ দিনেও যানবাহন চলাচল না করায় দুর্ভোগে পড়েছেন এ অঞ্চলের লাখো মানুষ। বিপাকে পড়েছেন পরিবহণ শ্রমিকরাও।