৫২ টঙ্গী প্রতিনিধি ।।
বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে টঙ্গীর নোয়াগাঁও এলাকায় এক গার্মেন্টকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অপরদিকে পাগাড় এলাকায় ৮ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টাকালে তার ডাকচিৎকারে এলাকাবাসী মুরাদ (৪০) নামের এক বখাটেকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
এঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার টঙ্গী থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার এজাহারসূত্রে জানা যায়, টঙ্গীর পিনাকী গার্মেন্ট কারখানার ওই কর্মীর সাথে নরসিংদীর ঘোড়াশালের প্রাণ কোম্পানীর কর্মী মোস্তাকিনের মোবাইলের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মোস্তাকিন ওই গার্মেন্টকর্মীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বেশ কয়েকবার ধর্ষণ করে। পরে সে বিয়ের জন্য মোস্তাকিনকে চাপ প্রয়োগ করলে কিছুদিনের মধ্যেই বিয়ে করবে জানিয়ে সর্বশেষ গত সোমবার বিকেলে তাদের বাসায় এসে মেয়েটিকে পুনরায় ধর্ষণ করে সটকে পড়ে। এরপর থেকে মোস্তাকিনের ব্যবহৃত মুঠোফোনটি বন্ধ করে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। উপায়ন্তর না পেয়ে ধর্ষিতার মা জাকিয়া বেগম বাদী হয়ে গতকাল টঙ্গী মডেল থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। অপরদিকে পাগাড় বটতলা এলাকার মোস্তফা জামান স্বপনের বাড়ির ভাড়াটিয়া স্বপ্না আক্তার তার ৮ বছরের মেয়েকে বাসায় রেখে চাকরি করতে সোমবার সকালে গার্মেন্টে চলে যান। এই সুযোগে পাশ্ববর্তী ভাড়াটিয়া মুরাদ ওই শিশুটিকে বাসায় একা পেয়ে মজা কিনে দেবার প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এসময় শিশুটির ডাকচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে মুরাদকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। এঘটনায় টঙ্গী থানায় যৌন নিপীড়ন সংক্রান্ত একটি মামলা দায়ের শেষে গ্রেফতারকৃতকে গাজীপুর আদালতে প্রেরণ করেন।
এব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে টঙ্গী মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘উভয় বিষয়ে থানায় মামলা হয়েছে। একজনকে গ্রেফতার করে গাজীপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। অপর ধর্ষককে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’