বাংলাদেশ সরকারের সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার সাত মামলায় ছয় মাসের জামিন দিয়েছে হাইকোর্ট।
বিচারপতি নিজামুল হক ও বিচারপতি ফরিদ আহমেদ শিবলির হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার শুনানি শেষে লতিফ সিদ্দিকীর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে।
পাশাপাশি কেন স্থায়ী জামিন দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি ও রুলের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত মামলাগুলোর কার্যক্রম স্থগিতও করেছে আদালত।
রোববার (২৪ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা ঢাকার সাত মামলায় জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করলে হাইকোর্টে যান লতিফ সিদ্দিকীর আইনজীবীরা। ওই সাতটির মধ্যে ছয়টি মামলা ঢাকার সিএমএম ও একটি মামলা নারায়ণগঞ্জের আদালতে দায়ের করা হয়েছিল।
আদালতে জামিনের আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন লতিফ সিদ্দিকীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মনিরুজ্জামান।
২০১৪ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে টাঙ্গাইল সমিতির এক মতবিনিময় সভায় লতিফ সিদ্দিকী মহানবী হযরত মুহাম্মদ(স.) এবং পবিত্র হজ্ব সম্পর্কে কটুক্তি করে বিতর্কের ঝড় তুলেছিলেন। লতিফ সিদ্দিকী প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় সম্পর্কেও কটূক্তি করেন।
তার এ বক্তব্যবের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার সিএমএম আদালতে বিভিন্ন ব্যক্তি মোট সাতটি মামলা দায়ের করেন। তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন জেলায়ও বেশ কয়েকটি মামলা করা হয়। দেশের অলেম সমাজ ও ধর্মভিত্তিক বিভিন্ন সংগঠন ও রাজনৈতিক দল তার গ্রেফতারের দাবিতে মিটিং মিছিল করে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে এবং তাকে গ্রেপ্তারের দাবি জানায়।
বিব্রতকর আবস্থার মধ্যে সরকার তাকে মন্ত্রী পরিষদ থেকে বাদ দেয় এবং আওয়ামীলীগও তার প্রাথমিক সদস্যপদ কেড়ে নেয়। দু’মাস পর ২০১৪ সালের ২৩ নভেম্বর ভারত থেকে দেশে ফেরেন লতিফ সিদ্দিকী। তারপর ২৬ নভেম্বর ধানমণ্ডি থানায় আত্মসমর্পণ করলে লতিফ সিদ্দিকীকে কারাগারে পাঠানো হয়।