৫২ জাতীয় ডেস্ক ।।
রিমান্ড ও জামিন আবেদন নাকচ করে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদকে পুলিশের হেফাজতে হাসপাতালে রাখার নির্দেশ দিয়েছে ভারতের শিলংয়ের আদালত। ১৪ দিন পর তাকে আবার আদালতে হাজির করতে বলা হয়েছে।
বুধবার স্থানীয় সময় বেলা আড়াইটার দিকে সালাহ উদ্দিনকে শিলং জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির করা হয়। সোয়া তিনটায় বিচারক এজলাসে বসেন। আদালতের কার্যক্রম শুরু হলে পুলিশ সালাহ উদ্দিনকে রিমান্ডে নেয়ার আবেদন জানান। অন্যদিকে আসামীপক্ষের আইনজীবী এস পি মহন্ত ও অনি আগারওয়াল সালাহ উদ্দিনের জামিনের আবেদন করেন। দু’পক্ষের আবেদন নাকচ করে সালাহ উদ্দিন আহমেদের শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে তাকে নেগরিমস হাসপাতালে চিকিৎসার নির্দেশ দেন আদালত।
মেঘালয়ে দিনব্যাপী বন্ধ (হরতাল) এবং সকাল থেকে মুষলধারে বৃষ্টির কারণে নির্ধারিত সময়ে তাকে আদালতে হাজির করতে পারেনি শিলং পুলিশ।
শিলং এর স্থানীয় সময় দুপুর ১ টায় ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে সালাহ উদ্দিন আহমেদকে হাজির করার কথা ছিল। মঙ্গলবার বিকেল থেকে সালাহ উদ্দিন আহমেদ শিলং সদর থানায় অবস্থান করছিলেন।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার নর্থ ইস্টার্ন ইন্দিরা গান্ধী রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ অ্যান্ড মেডিকেল সায়েন্সেস (নেগ্রিমস) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিএনপির নেতা সালাহ উদ্দিন আহমেদকে ছাড়পত্র দেয়। পরে তাঁকে পুলিশি হেফাজতে নেয়া হয়।
গত ১০ মার্চ উত্তরা থেকে নিখোঁজের ৬৩ দিন পর ১১ মে ভারতের মেঘালয়ের শিলংয়ে খোঁজ মেলে সালাহ উদ্দিনের। ১২ মে সালাহ উদ্দিনকে শিলং সিভিল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর আগের দিন তাঁকে উদ্ধার করে একটি মানসিক হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। এদিনই বৈধ কাগজপত্র ছাড়া ভারতে প্রবেশ করায় ফরেনার্স অ্যাক্ট অনুযায়ী সালাহ উদ্দিনকে গ্রেফতার দেখায় মেঘালয় পুলিশ। এরপর সালাহ উদ্দিন আহমেদকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শিলংয়ের নেগ্রিমস হাসপাতালে নেয়া হয়।
গত শুক্রবার শিলংয়ের একটি আদালতে তাঁর পক্ষে জামিন আবেদন করেন তাঁর স্ত্রী। এ বিষয়ে ২৯ মে পুলিশকে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছেন আদালত।