ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আসন্ন বাংলাদেশ সফরকে স্বাগত জানিয়ে বিএনপি বলেছে, “বিএনপি কখনো ভারতবিরোধী রাজনীতি করেনি, করছে না, করবেও না। বিএনপি দেশের স্বার্থে কাজ করে। এটাকে ভারত বিরোধিতা বলা যাবে না।”
বুধবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন এসব কথা বলেন।
আগামী ৬ জুন ঢাকায় আসছেন নরেন্দ্র মোদি। তাঁর সঙ্গে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কোনো বৈঠক হবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান বলেন, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সফরসূচির বিস্তারিত আগ থেকে ঘোষণা করা হয় না। গোপন রাখা হয়। তাই তারা এখন এ বিষয়ে কিছু বলতে পারছেন না।
দেশের রাজনৈতিক সংকট নিয়ে মোদির সফর কোনো প্রভাব ফেলবে কি না বা ভারতের প্রধানমন্ত্রী কিছু বলবেন বলে বিএনপি আশা করে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান বলেন, “বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই। এটি দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। সারা বিশ্ব তা জানে। অভ্যন্তরীণ এ বিষয়টি নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী কথা বলবেন, তা বিএনপি প্রত্যাশা করে না। কিন্তু তিনি এও বলেন, প্রতিবেশী দেশে গণতন্ত্র বিন্যস্ত হোক, তা হয়তো সবাই চায়। সে ধরনের পরিবেশ থাকলে ‘কম্ফোর্ট ফিল’ করে।”
আসাদুজ্জামান বলেন, “তারা আশা করছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এই সফর সফল হবে এবং এর মধ্য দিয়ে তিস্তার পানি বণ্টনসহ অন্যান্য অমীমাংসিত বিষয়গুলোর সুরাহা হবে। ভারত বলেছে, তারা কোনো দলের সঙ্গে নয়, দেশের সঙ্গে সম্পর্ককে গুরুত্ব দেয়। বিএনপি বিশ্বাস করে, সেই বক্তব্যের প্রতিফলন হচ্ছে এবং হবে।”
বিশিষ্ট কলামিষ্ট জনাব সাদেক খান বিএনপি’র বক্তব্যকে ভারত তোষণনীতি বলে অভিহিত করে একে দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, গণতন্ত্র রক্ষার জন্য নিজের শক্তি ও জনগণের ওপর নির্ভর না করে ভারতের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকলে তা হবে জাতির জন্য লজ্জাজনক।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক ড. নুরুল আমীন বেপারী নিউজ চ্যানেল ৫২ কে বলেন, বিএনপি যদি আওয়ামী লীগের চেয়ে বেশী ভারতপন্থী হতে চেষ্টা করে তবে তার পরিণতি দলের জন্যও ভালো হবে না।
ওদিকে সংবাদ সম্মেলনে নরেন্দ্র মোদিকে দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতা হিসেবে প্রশংসা করে আসাদুজ্জামান রিপন উল্লেখ করেন, মোদি প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরির করার চেষ্টা করছেন ।
ভারতের পক্ষে সাফাই গেয়ে বিএনপি’র আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রিপন আরও বলেন, বাংলাদেশের কোনো বিশেষ গোষ্ঠী বা দলের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক নয়, ভারতের সম্পর্ক বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে।