৫২ জাতীয় ডেস্ক ।।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক ঐতিহাসিক সফরে বাংলাদেশে আসবেন। এক দিন আগেই অবশ্য ঢাকায় পৌঁছে গেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতার সফরের মধ্যে দিয়ে মূলত ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ঐতিহাসিক ছিটমহল চুক্তি বাস্তবায়নের সূচনা হবে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর করলেও এ পর্যায়ে বহু প্রতীক্ষিত তিস্তা নদীর পানি প্রসঙ্গ উঠবে না। এছাড়া নতুনভাবে আত্রাই নদীর পানি প্রসঙ্গ নিয়েও কোনো কথা হবে না বলে পররাষ্ট্র দফতর থেকে সাফ জানিয়ে দেয়া হয়েছে।
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব এস জয়শঙ্কর বলেছেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সুসম্পর্ক অনেক পুরোনো। অনেক নদীর পানিই দু’ দেশের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত। সীমান্ত এবং অন্যান্য ইস্যুতে বহু সমস্যা আছে। একটিমাত্র স্থল সীমান্ত চুক্তি রুপায়নের মাধ্যমে সমস্ত সমস্যা মিটে যাবে এমন নয়।’ তিস্তা চুক্তি নিয়ে কোনো কথাই হবে না সে কথা আগেই জানিয়ে দিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি আত্রাই নদীতে বাংলাদেশের বাঁধ দেয়া নিয়ে আপত্তি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে চিঠি লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ নিয়ে যাতে কোনো জটিলতা সৃষ্টি না হয় সেজন্য পররাষ্ট্র দফতর থেকে বিশেষ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
পররাষ্ট্র সচিব এস জয়শঙ্কর স্থল সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশেষ অবদান রয়েছে বলে জানিয়েছেন। মমতাকে নিয়ে বাংলাদেশেও ব্যাপক আগ্রহ এবং উচ্ছ্বাস দেখা গেছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরে বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য ভিসা সহজ করার কথা ঘোষণা, পাঁচ বছরের জন্য বাণিজ্য চুক্তি ও আভ্যন্তরীণ নৌ বাণিজ্য ও ট্রানজিট প্রটোকলের নবায়ন।
সংশোধিত বাণিজ্য চুক্তি অনুযায়ী ভারতের সড়ক, নৌ ও রেল পথ ব্যবহার করে নেপাল বা ভুটানের মতো অন্য কোনো দেশে বাংলাদেশের পণ্য পরিবহণ করা যাবে। অনুরূপভাবে ভারতও বাংলাদেশের ভূখন্ড ব্যবহার করতে পারবে।
বাংলদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে শীর্ষ বৈঠকের পর প্রায় ২০ টি চুক্তি সই হওয়ার কথা রয়েছে। এছাড়া মানব পাচার, জাল নোট প্রতিরোধের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে সমঝোতা স্মারক সই হবে।
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব এস জয়শঙ্কর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে ‘ঐতিহাসিক’ আখ্যা দিয়ে বলেছেন, ‘এই সফরে স্থল সীমান্ত, বাণিজ্য, পরিবেশ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি হবে।’
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আজ বাংলাদেশে পৌঁছলে তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়। মোদি টুইট করে বলেছেন, ‘হ্যালো বাংলাদেশ, আমি আমার সাথে ভারতের মানুষের ভালবাসা এবং শুভেচ্ছা নিয়ে এসেছি।’ পরবর্তী টুইটে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উষ্ণ অভ্যর্থনার জন্য ধন্যবাদ। আমি একটি সুন্দর সফর আশা করছি, যা ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ককে সুদৃঢ় করবে।’