মোঃ আব্দুল আজিজ ।।
“ যার নাই পকেটে টাকা
অচল তার জিবনের চাকা ’’
এই রকমটি প্রবাদে থাকলেও বাস্তবেও ঠিক সেই রকমটি আমাদের চোখে পরে ।
সভ্যতার শুরুথেকে মানুষের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার আদান প্রদানে বিভিন্ন পণ্য, প্রকিতিক চিহ্ন ব্যবহার করলেও পরবর্তিতে মুদ্রার প্রচলন চালু হয় ।
আবহমানকাল থেকে প্রচীন বাংলা তথা উপমহাদেশে মুদ্রার ক্রমবিকাশের ধারাকে লালন, সংরক্ষণ, তার নান্দনিক উপস্থাপন ও বাংলাদেশ সহ বিশ্বের মুদ্রার ইতিহাস তুলে ধরা টাকা জাদুঘরের প্রধান উদ্দেশ্য ।
ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যলয়ের মূল ভবনের দ্বিতীয় তলায় ২০০৯ সালে কারেন্সি মিউজিয়াম স্থাপিত হয় ।
পরবর্তীতে ২৭ এপ্রিল ২০১৩ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক শিলান্যাসের মাধ্যমে টাকা জাদুঘরের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় ।
টাকা জাদুঘরে বাংলাদেশের বর্তমান সময়ের মুদ্রা সহ প্রচীন আমলের মুদ্রা রয়েছে, যেমন – ২৬ ধরণের কোচ রাজাদের রৌপ্য মুদ্রা, আসাম, ব্রিটিশ ভারতের মুদ্রা, পাকিস্তান আমলের ব্যাংক নোট, বিলুপ্ত দেশের ব্যাংক নোট, ছাপাঙ্কিত রৌপ্য মুদ্রা, গুপ্ত যুগের প্রতীক, কৃষাণ মুদ্রা, মোঘল সম্রাটদের মুদ্রা সহ বর্তমান বিশ্বের ১২০ টি দেশের প্রচলিত মুদ্রা প্রদর্শিত হচ্ছে ।
প্রাচিন সময়ের অর্থনৈতিক অবস্থার চিত্র ও বাংলার বিভিন্ন টাকশালের নাম যন্ত্রাংশ এবং ঐতিহ্যকে তুলে ধরা হয়েছে টাকা জাদুঘরে ।
দর্শনার্থীদের দেখার মাঝে তাদের ক্লান্তি দুরকরতে ভিতরে রয়েছে ক্যান্টিনের ব্যবস্থা ।
টাকা জাদুঘরের দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের উপ-মহাব্যবস্থাপক মোঃ ইসমাইল জানান “টাকা জাদুঘরের মাধ্যমে বাংলাদেশের বর্তমান ও অতীতের মুদ্রার পাশাপাশি বিশ্বেরে ১২০ টি রাষ্টের মুদ্রা এবং প্রাচীন কালের মুদ্রা প্রদর্শন করা হয়েছে।যার মাধ্যমে দেশের মানুষ বিশেষ করে শিক্ষার্থীরা মুদ্রার ইতিহাস জানতে পারবে ’’ তিনি বলেন প্রতিদিন প্রায় ২০০ দর্শনাথীর অধিক জাদুঘর প্রদর্শনে আসেন।
জাদুঘরের ব্যবস্থাপনায় বর্তমানে ৩২ জন কর্মকর্তা কর্মচারী কর্মরত আছেন ।
সাপ্তাহিক ছুটি বৃহস্পতিবার ও সরকারি ছুটিরদিন ব্যাতিত প্রতিদিন সকাল ১১ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত, এবং শুক্রবার বিকাল ৪ টা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত খোলা থাকে টাকা জাদুঘর ।