নূরুল আমিন, ভোলা দক্ষিন প্রতিনিধি ।।
ভোলার লালমোহনে পৌর মেয়রের ওপর হামলা, পৌর ভবন, মেয়রের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করেছে জাকির বাহিনী। মঙ্গলবার (৯জুন) দুপুর পৌনে ২টায় পৌর শহরে এ ঘটনা ঘটে। এর আগের রাত (সোমবার) পৌর মেয়রের মালিকানাধিন লালমোহন ডায়াগনোস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকেও হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেছে এই বাহিনী। ওই সময় চিকিৎসাধিন ৪ জন রোগীও আহত হন। মেয়র মার্কেটের ১০টি দোকানে তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে। এসব হামলার নেতৃত্ব দেন অটো টেম্পু সমিতির সভাপতি ও পৌর শ্রমিক লীগ সভাপতি জাকির হোসেন ।
এদিকে প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা ও পৌর মেয়রের ওপর এমন হামলার বিষয় নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে লালমোহন সহ ভোলার সর্বত্র। মেয়র নিজের নিরাপত্তার জন্য পুলিশের সাহায্য চেয়ে ও পাননি বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে লালমোহন থানার ওসি আক্তারুজ্জামন জানান, তাকে কেউ কিছু জানান নি। কোন সাহায্যও চাওয়া হয় নি। মেয়রের ফিটনেস নিয়েও প্রশ্ন তোলেন ওসি।
পৌর মেয়র এমদাদুল ইসলাম তুহিন জানান, তিনি পৌরসভা থেকে ফিরছিলেন। লালমোহন চৌরাস্তা মোড়ে পৌঁছলে টেম্পু ও ভাড়ায় চালিত মোটর সাইকেল সমিতির সভাপতি জাকির হোসেনের নেতৃত্বে ক্যাডাররা তার ওপর হামলা করে। হামলাকারীরা প্রকাশ্য তাকে নাজেহাল করে। এসময় পৌরসভায় হামলা করে তারা সিসি ক্যামেরা বিনস্ট করে। স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়,লালমোহনের ৫ হাজার অটোরিকসা, ভাড়া চালিত মোটর সাইকেল, নসিমন, করিমন থেকে প্রতিদিন জাকির ও তার সহযোগিরা ৩০ টাকা ও ২০ টাকা হারে দেড় লাখ টাকা চাঁদা উত্তোলন করে। একই সঙ্গে ইয়াবা চালান এনে মাদক ব্যবসা করে যুব সমাজকে বিপথগামী করছে। এসবের বাঁধা দেয়ায় পৌরসভা ভবন, মেয়রের ক্লিনিক ও মেয়রের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে এবং মেয়রের মালিকানাধীন মার্কেটের ১০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে জাকির বাহিনী।
অপরদিকে পৌর শ্রমিকলীগ সভাপতি জাকির হোসেন জানান, তার স্ত্রী পৌর কাউন্সিলর মরিয়ম বেগমকে গত ৪ বছরে এক টাকার সুবিধা দেন নি এই মেয়র। তিনি নিজেই টেন্ডারবাজ। সব কাজ নিজে করেন। সম্প্রতি সাড়ে ৫ লাখ টাকার একটি মাটির কাজ টেন্ডারে জাকির পেলেও ওই কাজও মেয়র লোক দিয়ে করিয়ে নেন। তাকে প্রাপ্য টাকা দেন নি। এ ছাড়া বাজারের একটি ঘরের মালিকানা নিয়ে তার সঙ্গে মেয়র তুহিনের বিরোধ রয়েছে। এ নিয়ে তার কথাকাটাকাটি হয়। ওই সময় জনগন থেকে বিচ্ছিন্ন মেয়র জনরোষের মুখে পড়েন। জাকির হোসেন কোন চাঁদাবাজি করেন না বলেও দাবি করেন।
এ ঘটনায় লালমোহন থানার ওসি আক্তারুজ্জামান জানান, কোন পক্ষই এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তার নিকট লিখিত কোন অভিযোগ করেন নি। সোমবার জাকির হোসেনের সাথে পৌর ভবনে মেয়রের বাক বিতন্ডা হয়েছে। তা মেয়র আমাকে জানিয়েছেন।