স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান দাবি করেছেন, সরকার দলীয় এক এমপির পুত্রের বিরুদ্ধে জোড়া খুনের অভিযোগ ধামাচাপা দেয়ার কোনো চেষ্টা পুলিশ করেনি।
বিবিসি বাংলাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “কাউকে রক্ষা করার জন্য বা ধামাচাপা দেয়ার জন্য আমাদের পুলিশ কোনো চেষ্টা করেনি। সত্যিকার ঘটনা জানতে গিয়ে পুলিশের বিলম্ব ঘটেছে মাত্র।”
উল্লেখ্য, ঢাকার ইস্কাটনে মাতাল অবস্থায় এলোপাথাড়ি গুলি করে জোড়া খুনের অভিযোগ উঠে বখতিয়ার আলম রনির বিরুদ্ধে। তিনি আওয়ামী লীগের এমপি এবং মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পিনু খানের ছেলে।
এই মামলায় শনিবার বখতিয়ার আলম রনিকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পুলিশ এই মামলায় এর আগে তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
কয়েক মাস আগে এই ঘটনা ঘটলেও এটি গণমাধ্যমে প্রকাশ পায় মাত্র কয়েকদিন আগে।
ঘটনার রাত্রে ইস্কাটনে মধ্যরাতে ট্রাফিক জ্যামে আটকে পড়ার পর এমপি পুত্র বখতিয়ার আলম রনি তার পিস্তল থেকে এলোপাথাড়ি গুলি চালান বলে অভিযোগ। তার গুলিতে একজন রিকশাচালক এবং এক অটোরিকশা চালক নিহত হন।
পুলিশ এ ঘটনার সঙ্গে বখতিয়ার আলম রনির সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়ার পর তাকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ রনিকে গ্রেফতারের পরও তার সঙ্গে এই খুনের সম্পর্কের বিষয়টি প্রকাশ করতে কেন এত দেরী করল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
তবে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এরকম বিলম্ব ঘটার কথা অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ঘটনার তদন্ত করে বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পুলিশের সময় লেগেছে। সরকার বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে এমন অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেন।
তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী কাউকে ছাড় দিচ্ছেন না। অভিযোগ উঠলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে মন্ত্রীপুত্র বা এমপি পুত্র বা মন্ত্রীর আত্মীয় এসব কোনো ব্যাপার নয়।”