বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসের সাথে আওয়ামী লীগের ইতিহাস ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন বাংলার স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হয়েছিল। সেই সূর্য উদিত করতেই ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন আওয়ামী লীগের জন্ম।
মঙ্গলবার সংসদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, শত প্রতিকূলতার মাঝেও দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। স্বাধীনতার সঙ্গে আওয়ামী লীগের ইতিহাস ওতোপ্রোতভাবে জড়িত। অনেক ত্যাগ তীতিক্ষায় গড়া এ দলটি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের ত্যাগ তীতিক্ষার কারণেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। এগিয়ে যাওয়ার বিষয়টি বাংলাদেশ-ভারত মধ্যকার ক্রিকেট খেলায়ও প্রমাণ করল টাইগাররা।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগের প্রতীক নৌকা। জন্মলগ্ন থেকে আওয়ামী লীগ নৌকাকে উজানের দিকে ঠেলে ঠেলেই এগিয়ে নিচ্ছে। আদর্শে গড়া দলকে কেউ নিশ্চিহ্ন করতে পারে না, পারবেও না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের পুরো ইতিহাস বাঙালি জাতির ত্যাগ তীতিক্ষার ইতিহাস। প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রমে নেতৃত্ব দিয়েছে আওয়ামী লীগ। ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যেদিয়ে আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠিত। স্বাধীনতা আওয়ামী লীগের হাত দিয়েই হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, শহীদ মিনার নির্মাণ প্রকল্প, একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ঘোষণা বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, শিল্প-সাহিত্য, কলা প্রতিটি বিষয়ে পূর্ণতা এসেছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার মানে হচ্ছে বাঙালির আর্থ-সামাজিক উন্নতি ও তাদের কিছু প্রাপ্তি। ঐতিহাসিক সমুদ্র সীমা বিজয় ও স্থল সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন এর সবগুলোই বঙ্গবন্ধু করে গিয়েছিলেন। আমরা শুধু এর বাস্তবায়ন করেছি।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার ২১ বছর পরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দেশের মানুষ বুঝতে পারে সরকার মানে সেবক। ১৯৯৬-২০০১ আওয়ামী লীগ সরকারের আমল ছিল স্বর্ণযুগ। এরপর ২০০১ সালে ক্ষমতা ছাড়ার পর আবার আঘাত আসে।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়ার এ দেশ পিছিয়ে যেতে পারে না। বাংলাদেশ রয়েল বেঙ্গল টাইগারের দেশ, বাংলাদেশ ক্রিকেট দল এটা দেখিয়ে দিয়েছে। একটু উৎসাহ দিলে বাঙালি যে কোন কিছু অর্জন করতে সক্ষম।’
আলোচনায় আরো অংশ নেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এবং স্বতন্ত্র সদস্য হাজী মো. সেলিম।